1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার গাড়ির সঙ্গে গাড়ির যোগাযোগ

হাফসা হোসাইন১২ নভেম্বর ২০০৮

যানজট কিংবা সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি চালু হচ্ছে ইউরোপে৷ কার-টু-কার কমিউনিকেশন নামে ওই প্রযুক্তির সাহায্যে যানবাহনগুলো রাস্তার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবে প্রতি মুহুর্তে৷ সে অনুযায়ী চলবে রাস্তায়৷

https://p.dw.com/p/FtAZ
যানজট কিংবা সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে কার-টু-কার কমিউনিকেশনছবি: AP

তারবিহীন নেটওয়ার্ক ডব্লিউ-ল্যান প্রযুক্তির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই কার-টু-কার কমিউনিকেশনে রাস্তার অবকাঠামো এবং অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে ট্রান্সমিটার ডিটেকটরে৷ এর মাধ্যমেই একটি গাড়ি থেকে আরেকটি গাড়িতে তথ্য পৌঁছে যাবে৷যেমন ধরা যাক, কোন দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা হঠাত্‌ই বন্ধ করে দেয়া হলো৷ এ অবস্থায় একটি গাড়ি তার চেয়ে কয়েক কিলোমিটার পেছনে যে গাড়িটি রয়েছে সেটাকে মুহুর্তের মধ্যেই সংকেত পাঠিয়ে দেবে৷ এর ফলে দ্বিতীয় গাড়ির ড্রাইভার যানজট এড়াতে সহজেই তার রুট পরিবর্তন করতে পারবে কিংবা গতি ধীর করে ফেলবে৷ এভাবে এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়িতে তথ্য ছড়িয়ে পড়বে তাত্‌ক্ষনিকভাবেই৷

Jemen USA Botschaft in Sanaa Anschlag
যেমন ধরা যাক, কোন দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা হঠাত্‌ই বন্ধ করে দেয়া হলো৷ এ অবস্থায় একটি গাড়ি তার চেয়ে কয়েক কিলোমিটার পেছনে যে গাড়িটি রয়েছে সেটাকে মুহুর্তের মধ্যেই সংকেত পাঠিয়ে দেবেছবি: AP

ইউরোপের ৩০টি শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কার-টু-কার কনসোর্টিয়াম এই প্রকল্পে কাজ করছে৷ এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করছে ইউরোপীয় কমিশন৷ আর এজন্যই এ বছরের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে ইইউ-ওয়াইড ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডেরও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন৷ তারই ভিত্তিতে সম্প্রতি জার্মানিতে হয়ে গেলো কার-টু-কার কমিউনিকেশনের মহড়া৷

নতুন এই যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে তথ্য আদান-প্রদানের ফলে সড়ক পথ অনেক বেশি নিরাপদ হবে বলে আশা করছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ইসি-র টেলিকমিউনিকেশন কমিশনার ভিভিয়ান রেডিং জানিয়েছেন, যানজটের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাও এড়ানো সম্ভব হবে৷ ইসি-র হিসেবে, ২০১০ নাল নাগাদ যানজটের কারণে কাজের যে সময় নষ্ট হবে তাকে অর্থের অংকে নিলে তা দাঁড়াবে ১০২ বিলিয়ন ইউরোতে৷

আগামী বছরের শুরুতেই ইইউ-ওয়াইড ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে দেয়া হলে ইউরোপের রাস্তায় চালু হবে এই কার-টু-কার কমিউনিকেশন সিস্টেম৷ ইউরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানেও এরকম প্রকল্প হাতে নেয়া হয়৷