1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব গ্রন্থ দিবস

পেট্রা লামবেক/আরবি২৯ এপ্রিল ২০১৩

২৩শে এপ্রিল ছিল বিশ্ব গ্রন্থ দিবস৷ এই উপলক্ষ্যে বই আবার দৃষ্টি কাড়লো মানুষের৷ প্রযুক্তির এই ডামাডোলে বইকে আজ উপক্ষিত বলে মনে হতে পারে৷ আসলে কিন্তু তা নয়৷

https://p.dw.com/p/18OFs
ছবি: picture-alliance/dpa

বই তার কদর হারায়নি

ইন্টারনেট, ফেসবুক, টুইটার – প্রযুক্তির এসব প্রাবল্য সত্ত্বেও বই তার জায়গায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে আজও৷ উপহারের তালিকায় বইকে প্রধান্য দেওয়া হয় এখনও৷ অবসর সময় কাটানোর প্রিয় মাধ্যমও বই৷

অন্যদিকে আর একটি তথ্যও অবাক করার মতো৷ আর তা হলো জার্মানির প্রায় ৭৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঠিকমতো পড়তে বা লিখতে পারে না৷ ২০১১ সলের এক সমীক্ষায় জানা গেছে এই তথ্য৷ এদের আক্ষরিক অর্থে নিরক্ষর বলা হয়৷ এক একটি শব্দ বা বাক্য পড়তে বা লিখতে পারলেও বিষয় বা ঘটনার পরম্পরা বোঝাটা শক্ত হয় তাদের জন্য৷ এর ফলে সামাজিক ও কর্মজীবনে তাদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ কর্মক্ষেত্রে অনেক জায়গায় নানারকম লিখিত বক্তব্য থাকে৷ থাকে নানারকম লিখিত নির্দেশনা৷ সেসব বুঝতে পারেন না তারা৷

Leseförderung an der Finkenbergschule in Köln
জার্মানির প্রায় ৭৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঠিকমতো পড়তে বা লিখতে পারে নাছবি: DW/P. Lambeck

পড়তে পারাও মজার ব্যাপার

১৫ বছর বয়স্ক মাটেও এখন ভালোই পড়তে পারে৷ কয়েক বছর আগেও অবস্থাটা ছিল ভিন্ন রকম৷ পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতো সে৷ এখন সপ্তাহে একদিন স্কুলে এক প্রশিক্ষকের কাছে সে পড়া ও লেখা শেখে৷ প্রশিক্ষক বই বা পত্রিকা নিয়ে আসেন৷ তাঁর সামনে পত্রিকা পড়ে শোনাতে হয় মাটেওকে৷ কোথাও আটকে গেলে খেই ধরিয়ে তিনি৷ এখন তো এই কিশোরের বেশ মজাই লাগছে পড়তে৷

কোলনের ফিংকেনব্যার্গ স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই সুযোগ সুবিধাটা করে দিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত মাটেও একমাত্র ছাত্র, যে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে৷ তার প্রশিক্ষক একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি৷ স্বেচ্ছায় বিনাবেতনে এই কাজটি করছেন তিনি৷

স্কুলে আরও অনেক ছাত্রছাত্রীরই এই ধরনের অসুবিধা রয়েছে৷ শিক্ষকরা যতটা পারেন তাদের সহায়তা দিয়ে থাকেন৷ যদিও খুব বেশি সময় তাঁরা দিতে পারেন না৷ পরিবারের কাছ থেকেও সেরকম সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায় না৷ কেননা সেখানেও রয়েছে নানা রকম সমস্যা৷

ফিংকেনব্যার্গ স্কুলের শিক্ষিকা টিনা মায়ার বলেন, ‘‘বিশেষ করে বয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমস্যাটা বেশি৷ তাদের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত ছোট গ্রুপ, যেখানে তারা জোরে জোরে পড়ে শোনাতে পারে৷ ঠেকে গেলেও অতটা লজ্জায় পড়তে হয় না৷'' তবে এ ব্যাপারে পরিবারকে সম্পৃক্ত করা দরকার বলে মনে করেন এই শিক্ষিকা৷ ছোটবেলা থেকে নজর দিলে লেখা পড়ায় দুর্বলতাটা অত বাড়তে পারে না৷ ক্লাস এইট নাইনে এসে এই সমস্যাটা কাটানো সহজ নয়৷

Jugendliche eReader Lesen Literatur
চলছে ইবুক’এর যুগছবি: Getty Images

পিছিয়ে আছে ছেলেরা

পড়ায় উত্সাহ জাগানোর জন্য নানা রকম গবেষণা প্রকল্পও কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে ‘ফাউন্ডেশন রিডিং' প্রতিষ্ঠানটি৷ এই ফাউন্ডেশনের সিমোনে এহমিগ জানান, ‘‘মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয় বেশি৷ ছেলেরা পড়তে আগ্রহী হয় কম৷ আর এ ব্যাপারে তাদের মনোযোগও থাকে কম৷'' এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ছেলেরা এমন এক পৃথিবীতে বড় হয়, যেখানে ‘পড়া' ব্যাপারটায় পুরুষদের খুব একটা দেখা যায় না৷

ছোটবেলায় গল্পের বই পড়ে শোনান মা৷ কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুলেও পড়ার ব্যাপারে শিক্ষিকা অর্থাৎ নারীকেই আদর্শ হিসাবে পায় বাচ্চারা৷

ডিজিটাল বই-এর মাহাত্ম্য

তবে ডিজিটাল বই যেমন, ই-রিডার ও ই-বুক ছেলেদেরও আগ্রহ জাগাতে পারে বলে মনে করে সিমোনে এহমিগ৷ কেননা মুদ্রিত বইয়ের চেয়ে প্রযুক্তির এই মাধ্যমটির সঙ্গে বেশি পরিচিত আজকের ছেলে-মেয়েরা৷

লাইপজিগের জার্মান সাহিত্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্লাউডিয়ুস নিসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ছোট ছোট গল্প লেখার মাধ্যমেও ছেলে-মেয়েরা পড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে৷ এজন্য স্কুলগুলিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে৷ লেখার জন্য পড়তেও প্রণোদিত হবে ছাত্রছাত্রীরা৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য