1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী নীতি নিয়ে বিপাকে ম্যার্কেল

১৮ জুন ২০১৮

সরকারের অস্তিত্ব আপাতত টিকিয়ে রাখতে পারলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ শরণার্থী সংক্রান্ত নীতিকে কেন্দ্র করে জোটসঙ্গীর সঙ্গে অস্থায়ী বোঝাপড়া সম্ভব হয়েছে৷ জুন মাসের মধ্যেই তাঁকে সমাধানসূত্র পেশ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/2zkza
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Kappeler

শরণার্থী ও অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে জার্মানির ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল – সিডিইউ ও বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের মধ্যে কোন্দল গত সপ্তাহেই চরমে উঠেছিল৷ সিএসইউ শরণার্থী সংক্রান্ত নীতি আরও কড়া করতে চাইছে৷ অন্য কোনো দেশে শরণার্থীরা নিজেদের নথিভুক্ত করলে জার্মানির সীমান্তে তাদের বিদায় করতে চায় তারা৷ দলের দাবি, ইউরোপীয় আইনের কাঠামোর মধ্যেই এই পদক্ষেপ সম্ভব৷

অন্যদিকে সিডিইউ নেত্রী ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির একক পদক্ষেপের বদলে এক ইউরোপীয় সমাধানসূত্র চাইছেন৷ দ্রুত সেটা সম্ভব না হলে কমপক্ষে কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে তিনি আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে চান৷ তিনি এই লক্ষ্যে দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন৷ জুন মাসের শেষে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে তিনি ইটালি ও অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে জরুরি শীর্ষ বৈঠক ডাকতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ নিজের সিডিইউ দল এই উদ্যোগে সম্মতি দিলেও সিএসইউ দল তাঁকে সেই সময় দেবে কিনা, তা সোমবার পর্যন্ত স্পষ্ট ছিল না৷ সিএসইউ নেতা ও জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এমনকি মন্ত্রী হিসেবে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ম্যার্কেলকে অমান্য করে একাই শরণার্থীদের সীমান্তে বিদায় করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার হুমকি দিয়েছিলেন৷

সোমবার দুই দলের মধ্যে এক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আপাতত সংকট কাটানো সম্ভব হয়েছে৷ জুন মাসের শেষের মধ্যে ম্যার্কেল ইউরোপীয় স্তরে এক সমাধানসূত্র খুঁজে পাবেন, এই শর্তে সিএসইউ তাদের দাবি থেকে বিরত থাকবে৷ ম্যার্কেল নিজেও এই শর্ত মেনে নিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ দাবি করছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ব্যর্থ হলে সিএসইউ জার্মানির সীমান্ত থেকে ‘অবৈধ’ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর নীতি কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ 

আগামী অক্টোবর মাসে বাভেরিয়ায় রাজ্য নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন জয় করতে সিএসইউ এমন চরম মনোভাব দেখাচ্ছে বলে এই দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠছে৷ তাছাড়া সেহোফার এবং বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডারের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইও এই সংঘাতের জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করছেন৷  তার উপর সেহোফার ও ম্যার্কেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কও তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এমনকি সেহোফার নাকি দলীয় এক বৈঠকে স্পষ্ট বলেছেন যে, তিনি আর ‘ওই মহিলার সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না’৷ সংবাদ মাধ্যমের একাংশে তাঁর এই ‘বিতর্কিত মন্তব্য’ প্রকাশিত হয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)