1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমনওয়েলথ গেমসের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এবার যোগ হলো লঙ্গুর বাহিনী

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০

কমনওয়েলথ গেমসের সময় জঙ্গিদের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় এক লক্ষ সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে৷ এবার বানরের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভাড়া করা লঙ্গুর আনা হল৷

https://p.dw.com/p/PQEN
লঙ্গুর: বানর তাড়াতে আনা হয়েছে বানর প্রজাতিরই এই প্রাণীকেছবি: AP

লঙ্গুরও এক প্রজাতির বানর৷ দক্ষিণ এশিয়ায় এদেরকে দেখা যায়৷ এরা আকারে বড়, মুখের রং কালো এবং হিংস্র হয়৷ তাই ভারতের বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য প্রাণীদের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এদেরকে ব্যবহার করা হয়৷ কেননা, অন্যান্য প্রজাতির বানরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভালো কাজ করে এরা৷ আর এই সুযোগকেই এবার কাজে লাগিয়েছে নতুন দিল্লির পৌর পরিষদ৷

আগামী রবিবার নতুন দিল্লিতে শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমস৷ গেমস চত্বরে সাধারণ বানর যাতে হামলা করতে না পারে, সেজন্য এখন ব্যবহার করা হচ্ছে লেঙ্গুরদের৷ নতুন দিল্লির পৌর পরিষদ বলছে, গতকাল বুধবার থেকে এইসব বানরকে কমনওয়েলথ গেমসের বিভিন্ন ভেন্যূতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খাতিরে রাখা হয়েছে৷ তবে আগামী রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন পর্যন্ত এদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ানো হবে৷

এনডিএমসি'র মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্স কে বলছেন, ‘‘আমরা এরই মধ্যে ৩৮ টি লঙ্গুরকে এনেছি এবং বানরদের উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটা খুবই ভালো উপায়৷ আমরা এদেরকে ভাড়া করেছি এবং এদের প্রশিক্ষক এদের সঙ্গেই আছেন৷''

এই ধরণেরই একটি লঙ্গুর কমনওয়েলথ গেমস অর্গানাইজিং কমিটির সদর দপ্তর পাহারা দিচ্ছে৷ বিশাল আকারের বানরকেও দেখা যাচ্ছে তালকোটরা স্টেডিয়াম ও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে৷

ভারতের রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে, বিশেষ করে পূর্ব দিল্লির লোকজনের কাছে বানর রীতিমত এক ভীতির কারণ৷ ২০০৭ সালে বানরের হামলায় ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন তখনকার ডেপুটি মেয়র৷ অন্যদিকে এমনিতেই দিল্লির কিছু দপ্তরের ভবনে এবং বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ ভবনে দেখা যায় লঙ্গুরদের৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন