1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীনতার ‘অবৈধ’ গণভোট

২ অক্টোবর ২০১৭

স্পেনের ফেডারেল সরকার ও সাংবিধানিক আদালতের বিরোধিতার তোয়াক্কা না করে স্বাধীনতার প্রশ্নে কাটালুনিয়া রাজ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিলেও বিতর্ক শেষ হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/2l52D
রবিবার স্পেনের কাটালুনিয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরের দৃশ্যছবি: Getty Images/D. Ramos

গত সপ্তাহে ইরাকি কুর্দিস্তানের মতো সপ্তাহান্তে স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্যেও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হলো৷ মাদ্রিদের ফেডারেল সরকার এই উদ্যোগকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বল প্রয়োগ করেও গণভোট বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছে৷ ফেডারেল পুলিশ বাহিনীর বাধা সত্ত্বেও বিশাল সংখ্যক মানুষ এই গণভোটে অংশ নিয়েছেন৷ এমনকি রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়েছে৷ কাটালুনিয়ার কর্মকর্তাদের সূত্র অনুযায়ী, প্রায় ৮৪৪ জন সাধারণ মানুষ ও ১২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছে৷

রাজ্য সরকারের দাবি, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার কাটালুনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছেন৷ ২২ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটার, অর্থাৎ ৪২ শতাংশ গণভোটে অংশ নিয়েছেন৷ এ দিনের হিংসাত্মক পরিবেশ সম্পর্কে কাটালুনিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কারলেস পুজেমন এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, আশা ও কষ্টের এমন দিনে কাটালুনিয়ার নাগরিকরা প্রজাতন্ত্রের রূপে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার অর্জন করেছেন৷ তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গণভোটের ফলাফল কাটালুনিয়ার সংসদের কাছে পাঠিয়ে দেবে৷ জাতির সার্বভৌমত্ব সংসদে থাকায় সংসদই গণভোটের আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে৷ উল্লেখ্য, এর আগে তিনি গণভোটের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন৷

মাদ্রিদে ফেডারেল সরকার শুরু থেকেই এই গণভোটের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে৷ এমন একতরফা পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে গণভোট বা তার রায়কে স্বীকৃতি দেয় নি সরকার৷ স্পেনের সাংবিধানিক আদালতও এই গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করেছে৷ বিশেষ করে কাটালুনিয়ার গণভোট আইনে ন্যূনতম ভোটের হারের কোনো উল্লেখ না থাকায় অনেক মহল থেকে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ সমালোচকদের মতে, এর ফলে যারা স্পেনের ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাঁরা গণভোট বর্জন করে বঞ্চিত হবেন৷

কাটালুনিয়ার স্বাধীনতার এই একতরফা উদ্যোগ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে চরম অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে৷ এমন দৃষ্টান্ত বিচ্ছিন্নতাকামী গোষ্ঠীদের উৎসাহ দিতে পারে বলে কিছু দেশের সরকার আশঙ্কা করছে৷ স্কটল্যান্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বার্সোলোনায় হিংসা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেও মাদ্রিদে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷

স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী নেতা নিকোলা স্টার্জেন ভোটারদের বিরুদ্ধে স্পেনের পুলিশের কড়া পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)