1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভয়ারণ্যের মহিলা রেঞ্জার

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মোজাম্বিকের বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্কের মহিলা রেঞ্জাররা চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে পিছপা হন না৷ কঠিন এ সংগ্রামে তাঁরা কিছু নতুন পন্থাও প্রয়োগ করে থাকেন৷

https://p.dw.com/p/2kdXB
Elefanten im Niassa-Park
ছবি: E. Valoi

গোরোঙ্গোসা ন্যাশনাল পার্কে কান্দিদা মারকেশ কাবেসা-র প্রতিদিনের কাজ হলো চোরাশিকারিদের পাতা ফাঁদগুলোকে সরানো৷ মোজাম্বিকের বৃহত্তম অভয়ারণ্যের রেঞ্জারদের মধ্যে মহিলা রেঞ্জার খুব বেশি নেই৷ কান্দিদা খুব অল্প সংখ্যক মহিলা শিকারিদের একজন৷ চোরাশিকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অপরাধীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের বিপদ থাকে৷ কিন্তু তাতে ভয় করলে চলে না৷

কান্দিদা বলেন, ‘‘আমরা চুপি চুপি চোরাশিকারিদের শ'দুয়েক মিটারের মধ্যে পৌঁছাই৷ তারপর হামাগুড়ি দিয়ে একেবারে কাছে গিয়ে হাঁক দিই, ‘‘থামো!'' সাধারণত ওতেই ওরা থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আর ওদের গ্রেপ্তার করা যায়৷ কখনো-সখনো ওরা আমাদের আক্রমণ করে৷ তখন আমরা যেভাবে আমাদের শেখানো হয়েছে, সেভাবে আত্মরক্ষা করি৷''

 পুরুষ রেঞ্জাররা তাঁদের নতুন মহিলা সহকর্মীদের পেয়ে খুশি, কেননা, এর ফলে চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নতুন পন্থা অবলম্বন করা যায়৷ রেঞ্জার সিকো বোনিফাসিও কোম্পানিয়া কান্দিদার মতো জাতিতে পর্তুগিজ৷ তিনি জানালেন, ‘‘মাঝেমধ্যে আমরা মহিলা রেঞ্জারদের চর হিসেবে ব্যবহার করি৷ তখন তাঁরা ভান করেন, যেন তাঁরা রেঞ্জার নন, সাধারণ মানুষ৷ এভাবে চোরাশিকারিদের কাছে আসা আর তাঁদের গ্রেপ্তার করা সহজ হয়৷''

চোরাশিকারিদের একটি প্রধান শিকার হলো হরিণ, কেননা হরিণের মাংস বেচে জীবনধারণ করা যায়৷ কিন্তু গোরোঙ্গোসা ন্যাশনাল পার্কের অন্যান্য জীবজন্তুও বিপন্ন – যদিও ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে বলে রেঞ্জারদের ধারণা৷ 

অভয়ারণ্যের নির্ভিক নারী

সিকো বলেন, ‘‘হাতিদের উপরেও চোরাশিকারিদের নজর পড়েছে বলে আমরা জানি৷ কিন্তু আমরা আমাদের কাজ করে যাই; চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাই৷ যার ফলে বেআইনি শিকার ধীরে ধীরে কমে আসছে৷''

বেআইনি মাছ ধরা

২০১৭ সালের প্রথম চার মাসে রেঞ্জাররা গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি বেআইনি শিকার ধরার ফাঁদ বিনষ্ট করেছেন৷ নদীতে টহল দেওয়াও রেঞ্জারদের কাজ৷ ন্যাশনাল পার্কে বেআইনি মাছ ধরার চল কিছু কম নয়৷

চোরাশিকারিরা একটি মাছ ধরার জাল ফেলে গেছে৷ রেঞ্জারদের আসতে দেখে তারা উধাও হয়েছে৷ কান্দিদা জানালেন, ‘‘আমরা জাল আর মাছ নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে আমরা গেলেই ওরা আবার বেআইনি মাছ ধরা শুরু না করতে পারে৷ এ ধরণের জালও আসলে নিষিদ্ধ, বিনা অনুমতিতে মাছ ধরা তো বটেই৷''

অভয়ারণ্যের ১৫০ জন রেঞ্জারের একজন হবার জন্য কান্দিদাকে অন্যান্য সহকর্মীর মতোই কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে৷ কান্দিদার মতে, ‘‘পুরুষ বা মহিলা, তাতে কিছু এসে যায় না৷ কাজের সময় পুরুষদের মতো আমরাও একই কাজ করি৷''

রেঞ্জারের কাজে বিপদ থাকে, ক্যাম্পে থাকার কষ্টও কম নয়৷ বাকি সকলের মতো কান্দিদা একটানা তিন সপ্তাহ কাজ করেন, তারপর এক সপ্তাহের ছুটি পান৷ কান্দিদা বললেন, ‘‘এতদিন ধরে পরিবার-আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে দূরে থাকাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে৷ আমরা ভয় পাই না৷ আমরা সব রকমের চ্যালেঞ্জ আর সমস্যার জন্য প্রস্তুত৷''

গ্লোরিয়া সুজা/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান