1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশিদেরও তুরস্কে পাঠানো হলো

৪ এপ্রিল ২০১৬

বিতর্কিত ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় কয়েকজন বাংলাদেশি সহ ১৩৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সোমবার সকালে গ্রিস থেকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে৷ একই চুক্তির আওতায় ১৬ জন সিরীয় জার্মানিতে পৌঁছেছেন৷

https://p.dw.com/p/1IP1m
গ্রিসের লেসবস থেকে তুরস্কে যাচ্ছেন শরণার্থীরা
ছবি: DW/P. Kouparanis

ক'দিন আগে স্বাক্ষরিত ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় ইউরোপের গ্রিস থেকে তুরস্কে পাঠিয়ে দেয়া সিরিয়ার একজন মানুষের বিনিময়ে ইউরোপ অপর একজন সিরীয়কে বৈধভাবে অভিবাসী হওয়ার সুযোগ দেবে৷ এছাড়া ২০শে মার্চ থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিসে পৌঁছানো কেউ যদি সেখানেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন না করেন কিংবা তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে তাঁকে তুরস্কে পাঠিয়ে দেয়া হবে৷

সোমবার প্রথমবারের মতো ১৩৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রিসের লেসবস দ্বীপ থেকে দু'টি ফেরিতে করে তুরস্কের ডিকিলিতে পৌঁছে দেয়া হয়৷ এদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি৷ এছাড়া কয়েকজন বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে রয়টার্স৷

First ship deporting migrants reaches Turkey

সোমবার গ্রিস থেকে প্রায় ৫০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী তুরস্কে পৌঁছাবে৷

এদিকে, তুরস্কের ইস্তানবুল থেকে ১৬ জন সিরীয়কে বিমানে করে জার্মানির হ্যানোভারে নিয়ে আসা হয়েছে৷ তাঁরা তিনটি পরিবারের সদস্য বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷

চুক্তির সমালোচনা

জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন সংগঠন, এমনকি ইইউ-র সদস্যরাষ্ট্র অস্ট্রিয়া ইইউ-তুরস্ক চুক্তির সমালোচনা করেছে৷ গ্রিসের লেসবস দ্বীপে এই চুক্তির প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনকে বিক্ষোভ করতে দেখেছেন ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক অলিভার সালেট৷

জাতিসংঘ বলছে এই চুক্তির কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আশ্রয় আবেদনের সুযোগ পাবেনা, যেটা তাঁদের অধিকার৷ এ কারণে চুক্তিটি অবৈধ বলেও মনে করছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি৷

অস্ট্রিয়া এই চুক্তির সফলতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷

গ্রিসে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরাও তুরস্কে যেতে আগ্রহী নন৷ তাঁরা ইউরোপ তথা গ্রিসেই থাকতে আগ্রহী৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য