1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘাতক জঙ্গিরা জামিন পাবে না

অনিল চট্টোপাধ্যায় নতুন দিল্লি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে যেসব জঙ্গি সাজা খাটছে, তারা অন্তর্বর্তী জামিন বা প্যারোলে ছাড়া পাবে না৷ বাড়িতে তাদের যত সমস্যা, যত জরুরি কাজই থাকুক না কেন৷ সোমবার এমনই রায় দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত৷

https://p.dw.com/p/2XzE7
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ছবি: CC-BY-SA-3.0 LegalEagle

রায় ঘোষণার সময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কেউ যদি নিষ্পাপ, নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে, নৃশংসভাবে হত্যা করার মতো জঘন্য অপরাধ করতে পারে, তাহলে সেইসব হত্যাকারীরা কোনোভাবেই দাবি করতে পারে না যে, পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে৷ যে মুহূর্তে সে এই ঘৃণ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়, সেই মূহূর্তেই তার পরিবার বা সন্তানদের সঙ্গে তার সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়৷ পরিবারের দোহাই দিয়ে সে অন্তর্বর্তী জামিন বা প্যারোল চাইতে পারে না৷ এই যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে. এস খেহার, ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড় ও সঞ্জয় কিষাণ কউলকে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের৷

১৯৯৬ সালের ২রা মে দক্ষিণ দিল্লির ভিড়ে ভরা লাজপতনগর সেন্ট্রাল মার্কেটে এক বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় ১৩ জন৷ এছাড়া গুরুতরভাবে আহত হয় ৩৮ জন৷ এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের পেছনে ছিল জম্মু-কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট নামে এক জঙ্গি গোষ্ঠী৷ এই সন্ত্রাসী হামলার মূল অপরাধী মহম্মদ নৌশাদসহ ১০ জন জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তদন্তকারী পুলিশ৷ এরমধ্যে একজন ছিল মহিলা৷ সব অভিযুক্তই ছিল কাশ্মীরি৷ বিশেষ আদালত তিনজনকে ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়৷ এর বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা দিল্লি হাইকোর্টে আপিল করলে দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১০ সালে দু'জনকে মুক্তি দেন এবং একজনের ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়৷ হাইকোর্ট মনে করে, তদন্তের কাজে পুলিশের ঢিলেমি ছিল৷

নৌশাদ তার আইনজীবী ফারুক রশিদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে যে, এ মাসের ২৭ তারিখে তার মেয়ের বিয়ে৷ তাই অন্তত মাসখেনেকের জন্য তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয়া হোক৷ সে ইতিমধ্যেই ২০ বছর জেল খেটেছে৷ আগে সে কখনও কোনো অপরাধে যুক্ত থাকেনি৷ একমাত্র বোমা বিস্ফোরণেই সে জড়িয়ে যায়৷ নৌশাদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, আবেদনকারীর সামাজিক বন্ধন খুব গভীর৷ জামিন পাবার পর পালিয়ে যাবার বা ফেরার হবার সম্ভাবনা নেই৷ নৌশাদ জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত বছর অক্টোবর মাসে দিল্লি সরকারের কাছে মেয়ের বিয়ের জন্য প্যারোলের আবেদন করে, কিন্তু কোনো সাড়া পায়নি৷ সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, আসামির ছেলে আছে না মেয়ে আছে এইসব যুক্তি খাটে না৷ তবে ট্রায়াল কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করলে সুপ্রিম কোর্ট তা শুনতে পারে এবং তা বিচার করে দেখতে পারে৷ তবে প্যারোলের আবেদন নয়৷ উল্লেখ করা যেতে পারে ২০০৫ সালে দীপাবলির ঠিক আগে দিল্লিতে সিরিয়াল বিস্ফোরণে মারা যায় ৬৭ জন৷ ঐ বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে একজনকে ছাড়া বাকি দু'জনকে কয়েকদিন আগে দিল্লি আদালত ১১ বছর পর বেকসুর খালাস করে দেন৷ দোষী সাব্যস্ত হয় নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য তারিক আহমেদ দার৷ এখানেও আদালত তদন্ত কাজে পুলিশের গাফিলতিকে এ জন্য দায়ী করেন৷ রায় দানে বিলম্বের কারণও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান