1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবোলা নিয়ে আতঙ্ক

৫ আগস্ট ২০১৪

আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে প্রায় মহামারির রূপ নিয়েছে এবোলা৷ এই মারাত্মক ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন আর লাইবেরিয়ায়৷ নাইজেরিয়ার একটি খবর তো আতঙ্ক আরো বাড়িয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1CodT
Dr. Kent Brantly
ছবি: picture-alliance/dpa

লাগোসে নাকি চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন এক ডাক্তার! সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা এবোলার ভয়াবহতা রুখতে দেশবাসীর প্রতি একতাবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫৭৪ জন এবোলায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে৷ এবোলা এ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ২৫২ জনের প্রাণ৷ নাইজেরিয়ায় ১৪৪০ জনের দেহে এবোলার সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এ রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৮২৬ জন৷

পশ্চিম আফ্রিকার আরেক দেশ লাইবেরিয়ার পরিস্থিতিও ভয়াবহ৷ সেখানে রোগী মারা গেলে লাশ পড়ে থাকছে ঘরে৷ কারো কারো মৃতদেহ পড়ে থাকছে বাড়ির সামনের রাস্তায়৷ কেউ সৎকার করছে না৷ ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ৷ সোমবার এ পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে রাজধানী মনরোভিয়ার রাস্তায় নেমে আসে শত শত মানুষ৷ বিক্ষুব্ধরা এ সময় সড়র অবরোধ করে রাখে৷

Emory University Hospital
এইডস রোগের সঙ্গে এবোলার মিল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরাছবি: Reuters/Tami Chappell

এবোলা ছড়িয়ে পড়ায় গত সপ্তাহে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে লাইবেরিয়া সরকার৷ অনেক সরকারি অফিসের কর্মচারীদের ৩০ দিনের জন্য ছুটি দেয়া হয়েছে৷ মূলত সুচিকিৎসা এবং সংক্রমণ এড়ানোর জন্যই এ সব উদ্যোগ নেয়া হয়৷ পাশাপাশি কোনো কোনো মন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি মৃতদেহ না ছোঁয়ারও আহ্বান জানান৷ তাই এখন ঘরে এবং রাস্তায় পড়ে থাকছে মৃতদেহ৷

প্রথমে না বলা হলেও, এবোলা যে ভয়ংকর এক সংক্রামক ব্যধি, ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত হয়েছে৷ তবে শুধু ছোঁয়াছুঁয়িতেই যে এ রোগের সংক্রমণ হয়, তা এখনো প্রমাণিত নয়৷ মূলত কোনো প্রাণী বা মানুষের রক্ত, বীর্য, যোনিরস বা দেহ নির্গত অন্য কোনো তরলের সংস্পর্শে এ রোগ ছড়ায়৷ বলা বাহুল্য, অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌন মিলনে এ রোগের সংক্রমণ হয়৷ এছাড়া এই অসুখের ওষুধ বা টিকা এখনও আবিষ্কার হয়নি৷ অর্থাৎ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইডস রোগের সঙ্গে এবোলার মিল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

তাঁরা জানিয়েছেন, সংক্রমিত রোগীর শুরুতে জ্বর হয়৷ সঙ্গে থাকে তীব্র মাথা, পেশী এবং তলপেটে ব্যথা৷ রোগীর একদিকে ক্ষুধা কমে যায়, অন্যদিকে শুরু হয় পাতলা পায়খানা৷ আর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রোগী৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, উইকিপিডিয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য