1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে ৬ ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ

১৩ অক্টোবর ২০০৯

চীনের একটি আদালত শিনচিয়াং প্রদেশে উইগুর এবং হান জাতির মধ্যে দাঙ্গায় খুনের অপরাধে ৬ ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে৷ সেই সঙ্গে অপর এক ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷

https://p.dw.com/p/K4rd
ছবি: DW / K.Bardenhagen

শিনচিয়াং প্রদেশের দাঙ্গায় জড়িত দুটি সম্প্রদায় হান চীনা ও উইগুর মুসলিম৷ দীর্ঘদিন ধরেই উইগুর মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হান চীনা সম্প্রদায় এবং সরকারের বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ করে আসছে৷ আগেও এ ধরণের ছোটখাটো দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে৷ তবে জুলাই এর দাঙ্গার ব্যাপকতা ছিল আগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ৷ জাতিগত ঐ দাঙ্গায় ১৯৭ জন নিহত হয়৷ আহত হয় অন্তত ১৬শ মানুষ৷ তবে শিনচিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমচির নির্বাসিত গ্রুপগুলোর দাবি, ঐ ঘটনায় অন্তত ৮০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ এদের মধ্যে অধিকাংশই উইগুর সম্প্রদায়ের – যাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে অথবা নির্যাতনে৷ কিন্তু সরকারি ভাষ্য হচ্ছে, ঐ দাঙ্গায় মারা যাওয়া অধিকাংশই হান সম্প্রদায়ের৷ শিনচিয়াং প্রদেশের উরুমচি শহরের আদালত থেকে ঘটে যাওয়া ঐ ঘটনায় এই প্রথম কোন মামলার রায় দেয়া হলো৷

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে যে কেবল খুনের জন্যই এই আদেশ দেয়া হয়েছে, তাই নয় – তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে আরও অনেক অভিযোগ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং অগ্নিসংযোগ৷ ঐ মামলায় ৪৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ এর মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে খুনসহ নানা অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে খুব শিগগিরই অন্য ১৪ জনের বিচারের রায় দেয়া হবে৷

নির্বাসিত উইগুরদের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস'এ এই বিচারকে প্রহসন এবং লজ্জা বলে উল্লেখ করেছে৷ সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল৷ বিচারের আসামীদের কোন প্রকার আইনগত সহায়তা দেয়া হয়নি৷ এই রায় প্রদান কালে পুরো আদালত জুড়ে নেয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের শাস্তি লাঘব করা হবে কি না, শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি৷ চীনে কখনও কখনও শাস্তি লাঘব করা হয়ে থাকে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন