1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিকা ভাইরাস ও জলবায়ু পরিবর্তন

শার্লটা লোমাস/এসি৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জার্মানির প্রখ্যাত জীবাণু বিশেষজ্ঞ এমি ভিটোর ডয়চে ভেলেকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তাঁর ধারণা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জিকা ভাইরাসের বিস্তার আরো বাড়বে৷ সেই সাক্ষাৎকারের একটা অংশই এখানে তুলে ধরা হলো৷

https://p.dw.com/p/1Hq96
Brasilien Zika Virus - Vater mit Kind
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Dana

ডিডাব্লিউ: জিকা ভাইরাস কী ও তা কতটা বিপজ্জনক?

এমি ভিটোর: জিকা ভাইরাস ডেঙ্গি ভাইরাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়৷ জিকা ভাইরাস একটি মশাবাহিত ভাইরাস, যা থেকে সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ দেখা দেয় না, অথবা সামান্য কিছু জ্বরজারি হয়৷ তবে সন্তানসম্ভবা মহিলারা এই ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হলে, পেটের সন্তানের মাইক্রোসেফালি নামের একটি ‘বার্থ ডিফেক্ট' দেখা দিতে পারে, যা থেকে নবজাতকের মাথা কিছুটা ছোট হয়৷

জিকা ভাইরাস ছড়ায় কী করে?

জিকা ছড়ায় দু'টি খুব প্রচলিত মশা থেকে, যাদের ল্যাটিন নাম ‘এডিস এজিপ্টাই' ও ‘এডিস আলবোপিক্টাস'৷ এই ভাইরাস আফ্রিকা ও এশিয়ার জঙ্গল এলাকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেমন মশা, তেমনই মানুষদের মধ্যে৷

Aedes aegypti mosquito - Zika Virus
জিকা ভাইরাসবাহী মশাছবি: Reuters/J. Saldarriaga

জিকা ভাইরাস কী ধরনের পরিবেশে বাড়তে পারে, বিশেষ করে ব্রাজিলে?

ব্রাজিল এবং অন্যত্র আমরা দেখি, মানুষজন জানলা-দরজায় জাল লাগান না, বাড়িতেও ‘এয়ারকন্ডিশনিং' থাকে না, অথচ তারা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে সময় কাটাতে বাধ্য হন৷ বাড়ির কাছে হয়ত পুকুর বা খানাডোবা থাকে, কেননা বাড়িতে কলের জল নেই কিংবা টিউবওয়েল নেই৷

Infografik Die Ausbreitung des Zika-Virus Englisch
দ্রুত ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস

ওদিকে আমরা ডেঙ্গি জ্বর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, কেননা আমাদের জিকা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা নেই৷ পরিবেশগতভাবে বলতে গেলে, উষ্ণ তাপমাত্রায় ডেঙ্গি ভাইরাস মশার ভিতর ভালোভাবে বংশবৃদ্ধি করতে পারে৷ জিকার ক্ষেত্রেও সম্ভবত তা প্রযোজ্য, যদিও আমরা সঠিক করে বলতে পারি না৷ আর্দ্রতাও মশাদের বংশবৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন বা ডাব্লিউএইচও এডিস এজিপ্টাই মশার বিস্তারের জন্য এল নিনিও-র প্রভাবকে দায়ী করেছে৷ এই দুই-এর মধ্যে সত্যিই কি কোনো সংযোগ আছে?

ব্রাজিলের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে এডিস এজিপ্টাই মশার সংখ্যা বেড়েছে বলে আমি দেখিনি৷ তবে দক্ষিণ অ্যামেরিকার অন্যান্য দেশ থেকে তেমন খবর পাওয়া গেছে বটে৷ ডেঙ্গি রোগও বেড়েছে অনুরূপ হারে৷ তবে এলি নিনিও-র প্রভাব সব এলাকায় একরকম হয় না; কোথাও বৃষ্টি বাড়ে, আর্দ্রতা বাড়ে, আবার কোথাও কমে৷ তার ফলে মশার সংখ্যা সম্ভবত বাড়ে কিংবা কমে৷ হয়ত এগুলোর মধ্যে কোনো সংযোগ আছে৷

জলবায়ু পরিবর্তন আর মশকবাহিত রোগের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা কতটুকু জানি?

Brasilien - Forschung Zika Virus - Mikrozephalie
বিজ্ঞানীরা জিকা ভাইরাস সম্পর্কে আরো তথ্য খোঁজার চেষ্টা করছেনছবি: Reuters/U. Marcelino

সব কিছু দেখে মনে হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ডেঙ্গি এবং জিকা ভাইরাসের বিস্তারের পক্ষে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে; দক্ষিণ অ্যামেরিকায় তা আরো দক্ষিণ দিকে যাবে; দক্ষিণ ইউরোপ থেকে উত্তরমুখে ছড়াবে৷

মধ্য আফ্রিকা আর পূর্ব এশিয়ায় উভয় ভাইরাসের পরিধি বাড়বে৷ উত্তর আর উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় এডিস আলবোপিক্টাস মশার সংখ্যা বাড়তে পারে৷ সব মিলিয়ে এজিপ্টাই ও আলবোপিক্টাস, এই দুই ধরনের মশার বিস্তার যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, তার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সংযোগ থাকতে পারে৷

এমি ভিটোর ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার ইমার্জিং প্যাথোজেন্স ইনস্টিটিউটের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অফ মেডিসিন৷

আপনি কী মনে করেন বন্ধু? জিকা ভাইরাসের সঙ্গে কি জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য