1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুর্কি শিক্ষাবিদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

৩০ অক্টোবর ২০১৭

কুর্দি যোদ্ধাদের উপর তুরস্কের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে পিটিশন স্বাক্ষর করায় জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি শিক্ষাবিদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করছে তুরস্ক৷

https://p.dw.com/p/2mjUL
Türkei Sicherheitskräfte in Cizre
ছবি: picture-alliance/abaca

অন্তত ১০০ তুর্কি শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ গঠন করছে  সেদেশের আইনজীবীরা৷ রোববার জার্মান গণমাধ্যম এনডিআর, ভিডিআর ও সুডডয়েচার সাইটুং-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে অনেক বুদ্ধিজীবী এরই মধ্যে লিগ্যাল নোটিশও পেয়েছেন৷

২০১৬ সালের শুরুর দিকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পি কে কে) যোদ্ধাদের দমন করতে চালানো সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেন৷ ১,১২৮ জন তুর্কি ও আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবী৷ তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ওই অভিযানে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক, পিকেকে যোদ্ধা ও তুর্কি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়, ধ্বংস হয় কয়েকটি শহর, বাস্তুচ্যূত হন হাজার হাজার মানুষ৷ ‘অ্যাকাডেমিকস ফর পিস' হিসেবে পরিচিত এ দলের সদস্যরা পিটিশনে পরিকল্পিত এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তুরস্কের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর লাগাতার হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ সরকারের প্রতি পিকেকে'র সাথে আলোচনা শুরুর আহ্বানও জানান তাঁরা৷

Türkei Istanbul Unterstützer Demo Wissenschaftler für Frieden
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

অন্যদিকে, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান এ পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন৷ এরই মধ্যে পিটিশনে স্বাক্ষর করায় তুরস্কে বিচারাধীন রয়েছেন অনেক শিক্ষাবিদ৷ অন্তত কয়েকশ' শিক্ষাবিদ চাকরি হারিয়েছেন৷ জার্মানিতে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ১০০ জন বুদ্ধিজীবী৷  সরাসরি সহিংসতায় না জড়ালেও পিকেকে'র সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের বিরুদ্ধে৷

এর্দোয়ান সরকার মনে করে, তুরস্ককে ‘বেআইনি, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা' এসব শিক্ষাবিদের উদ্দেশ্য ছিল৷ সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তুরস্কে সাড়ে সাত বছরের কারাবাসের বিধান রয়েছে৷

যদিও জার্মানিতে বসবাস করায় এসব শিক্ষাবিদদের আপাতত কারাবাসের সম্ভাবনা নেই, তবে দেশে ফিরলেই শাস্তি ভোগ করতে হবে তাঁদের৷ তবে তুরস্কের এ পদক্ষেপে জার্মান-তুরস্ক সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে৷ এ বছরের প্রথম ৯ মাসে পাঁচ হাজারেরও বেশি তুর্কি জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, যার মধ্যে অনেকেই শিক্ষাবিদ, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সেনা কর্মকর্তা

চেজ উইন্টার/আরএন