1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে প্রথম অভিবাসী পরিবার থেকে আসা নারী মন্ত্রী

২৭ এপ্রিল ২০১০

জার্মানির ইতিহাসে এমনটি আর ঘটেনি৷ এই প্রথম অভিবাসী পরিবেশ থেকে আসা এক তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মঙ্গলবার৷ তাঁর নাম আইগুল ওয়েজকান৷

https://p.dw.com/p/N801
আইগুল ওয়েজকানছবি: Picture alliance/dpa

সোজা কথা সোজা ভাষায় বলতে অভ্যস্ত ওয়েজকান ইতিমধ্যেই তাঁর এক বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন৷ তবে তাঁর মন্ত্রী হবার পথে তা কোন বাধা হয়ে ওঠেনি শেষ পর্যন্ত৷

৩৮ বছর বয়স্কা ওয়েজকান লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের নতুন সমাজ ও অভিবাসীদের এদেশে সম্পৃক্ত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী৷ বিধাতা আমার সহায় হন, এই প্রচলিত শপথবাক্য উচ্চারণ করেছেন তিনি অন্যদের মত৷ এর আগে তিনি সরকারি স্কুলগুলোতে ক্রস সহ কোন ধর্মের প্রতীক না রাখার পক্ষে বক্তব্য রেখে ঝড় তোলেন৷ এমনকি তাঁর নিজের দল সিডিইউ'এর ভিতরেও রুষ্ট হন অনেকে৷ পরে তিনি অবশ্য তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন৷ ফলে রাজ্য বিধানসভায় দুই শাসক কোয়ালিশন দল সিডিইউ আর উদারপন্থী এফডিপি দলের সংসদীয় গোষ্ঠীদের সর্বসম্মত ভোটেই তিনি মন্ত্রীপদে নির্বাচিত হয়েছেন৷

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ তাঁর নতুন মন্ত্রী আইগুল ওয়েজকান-এর পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ তিনি বলেন, ওয়েজকানের বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি করা হয়েছে৷ তিনি জানান, ভুলবোঝাবুঝির জন্য ওয়েজকান দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ এটাও তাঁর কাছে স্পষ্ট যে জার্মানির এই লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্য স্কুলে ক্রস রাখার যেমন বিরোধী নয়, তেমনি স্কুলে ইসলাম ধর্মের শিক্ষাদানের ব্যবস্থারও সমর্থক৷

Aygül Özkan Vereidigung
শপথ নিচ্ছেন আইগুল ওয়েজকানছবি: AP

আইগুল ওয়েজকান-এর বাবামা ষাটের দশকে তুরস্ক থেকে এসে পৌঁছেছিলেন জার্মানিতে৷ বন্দর নগরী হামবুর্গে বড় হয়ে ওঠেন তিনি৷ আইন পড়েছেন সেখানেই৷ ২০০৪ সালে ওয়েজকান খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দলে যোগ দেন৷ চার বছর পর হামবুর্গের বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি৷ এবার তাঁর রাজনৈতিক জীবন তিনি চালাবেন লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে৷ অভিবাসীদের জার্মান সমাজের মূল স্রোতে আরও বেশি করে আরও ভালভাবে সম্পৃক্ত করতে সচেষ্ট হবেন এই তুর্কী বংশোদ্ভূত নারী৷ শুধু তুর্কী অভিবাসী নয়, সব অভিবাসীদের জন্যই কাজ করবেন তিনি৷ বলা বাহুল্য, অভিবাসীদের সমস্যাগুলোর সঙ্গে তিনি সবিশেষ পরিচিত৷

সাত বছর বয়সি এক পুত্রের জননী ওয়েজকান চেষ্টা করবেন, লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের কিন্ডারগার্টেনগুলিতে অভিবাসী পরিবারের শিশুরা যাতে আরও বেশি করে স্থান পায়৷ তাঁর লক্ষ্য হবে রাজ্যের তরুণদের - বিশেষ করে তুর্কী বা রুশ পরিবারের তরুণ বয়সিদের জন্য উপযুক্ত বৃত্তিশিক্ষার পথ প্রশস্ত করা৷ এই রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে হামবুর্গ থাকার কোন উপায় তার নেই৷ লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী মেলার শহর হানোফারই হবে তাঁর বাস ও কর্মস্থল৷ সমাজের মূল স্রোত এবং বহিরাগতদের মধ্যে অপরিহর্য এক সেতুবন্ধের ভূমিকা নেবেন তিনি এই শহর থেকেই৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবরতি গুহ