1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীদের খাদ্য-সংস্কৃতি

লাওরা ড্যোয়িং/এনএস২৬ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোতে গড়ে প্রতিদিনে প্রায় ৩০০,০০০ কেজি খাবার রান্না করা হয়৷ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি ১০ জনের একজনই বিদেশি৷ তাই ক্যান্টিনের খাবারের মেন্যুতে এসেছে অনেক পরিবর্তন৷

https://p.dw.com/p/1AxAY
Essen in der Mensa
ছবি: picture-alliance/dpa

আজ থেকে ৩০ বছর আগে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোতে খাওয়া-দাওয়ার চেহারা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন৷ তখন ক্যান্টিনে শুধু তিন রকমের ‘রেডিমেড মেন্যু' থাকতো বলে জানান বন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বছরের পুরনো পাঁচক হান্স-ইয়ুর্গেন হাশার৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘বেশিরভাগ খাবারেই তখন দেওয়া হতো শুধু গোলমরিচ, লবন আর পেঁয়াজ৷ অবশ্য তারপরেও খাবারের স্বাদ কিন্তু খারাপ ছিল না৷''

১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে প্রথম ছাত্রদের হোস্টেল চোখে পড়ে৷ আর তার ঠিক পরপরই জার্মানিতে ‘স্টুডেন্টেনমেনজা', অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন খোলা হয়৷ লক্ষ্য ছিল, দরিদ্র ছাত্রদের থাকা এবং অল্প খরচে খাওয়ার ব্যবস্থা করা, যাতে করে ছাত্ররা আর্থিক সমস্যা ছাড়াই লেখাপড়া শেষ করতে পারে৷

তবে সে সময়ের তুলনায় এখন শিক্ষার্থীদের ক্যান্টিনের খাবারে এসেছে আন্তর্জাতিক ছোঁয়া৷ বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে আজকাল তৈরি করা হয় বিফ স্টেক ‘টেক্সাস', ‘চিকেন ব্রেস্ট উইথ থাই ভেজিটেবল' কিংবা ‘ফানেন গিরস', অর্থাৎ তুর্কি স্টাইলে কড়াইয়ে ভাজা মাংস বা এ ধরণের আরো নানা রকম খাবার৷ বলা বাহুল্য, এ সব খাবার এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের বেশ প্রিয়৷

শিক্ষার্থীদের জন্য এ রকম রান্না করা খাবার খুবই পছন্দ সিরিয়া থেকে পড়তে আসা ২১ বছর বয়সি ছাত্র মোহাম্মদ ইনালোর৷ ওর অবশ্য জার্মান খাবারও খুব ভালো লাগে৷ ইনালোর ভাষায়, ‘‘জার্মান স্টাইলে রান্না করা তরকারির ঝোল খেতে খুবই স্বাদ৷ কিভাবে যে ঝোলটা এত মজা করে তৈরি করা হয়, ঠিক বুঝি না৷'' ‘‘সিরিয়ার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ রকম ক্যান্টিন নেই৷ আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে খাবারে দাম অনেক বেশি'', বলে ইনালো৷

বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে প্রতিদিন ৪০০ শিক্ষার্থীর জন্য রান্না করা হয়৷ একটি মেন্যুর দাম মাত্র ২.১০ ইউরো৷ শুধু তাই নয়, নানা স্বাদের খাবার থাকে সেই মেন্যুতে৷ এমনকি মুসলিম ছাত্রদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়৷ গত দু'বছর থেকে নিরামিষাশীদের জন্য করা হয়েছে আলাদা খাবারের ব্যবস্থাও৷

পাঁচক হান্স বলেন, ‘‘৩০ থেকে ৪০ বছর আগে শুধু নিরামিষ রান্না করা হবে, সে কথা ভাবাই যায়নি৷ সে সময় রান্না করার ওভেনগুলোও ছিল অন্যরকম৷ কিন্তু এখন পূর্ব-এশীয় স্টাইলেও নিরামিষ রান্না করা হচ্ছে৷ তাছাড়া বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের খাবার ক্যান্টিনে রয়েছে ৪৫ রকমের মশলা৷''

মাংসের চাহিদা যে অনেকটাই কমে যাচ্ছে, তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না৷ এখন জার্মানির প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনেই আলাদাভাবে নিরামিষ রান্না করা হয়৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি ক্যান্টিনে শুধু নিরামিষ পরিবেশন করা হয় তাদের কথা ভেবে, যারা হালাল মাংস ছাড়া অন্য কোনো মাংস খায় না৷

৩০ বছর আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মাংস রান্না করা হতো, আজ সেই জায়গায় অনেকটাই স্থান করে নিয়েছে নিরামিষ৷ জনপ্রিয় হচ্ছে ভেগান খাবারও৷ প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি ভেগান ‘ডিশ' থাকে ক্যান্টিনে৷ ভেগান রান্নায় ব্যবহার করা হয় শুধু উদ্ভিদের তেল৷ মাছ-মাংস-ডিম তো বটেই, দুধের ব্যবহারও করা হয় না এই রান্নায়৷ এ ধরণের একটি ভেগান মেন্যুর মূল্য ৩ থেকে ৫ ইউরোর মধ্যে৷ বোঝাই যাচ্ছে, অন্য খাবারের তুলনায় ভেগান খাবারের দাম একটু বেশিই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য