1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

রুবি রাসেল/জেডএ১ জুলাই ২০১৭

প্যারিস চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর এই প্রথম কোনো ফোরামে ট্রাম্পের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্বের ক্ষমতাধর অন্য ১৯ দেশ৷ হামবুর্গে শুরু হতে যাওয়া জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে জলবায়ু পরিবর্তন৷

https://p.dw.com/p/2fgwr
ছবি: picture-alliance/dpa/ M. Kappeler

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা৷ সেই চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বকে ট্রাম্প উড়িয়ে দিলেও জি-টোয়েন্টির সভপতিত্বকারী দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এড়িয়ে যাননি বিষয়টি৷ বরং একে আলোচনার অ্যাজেন্ডায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ  স্থানেই রেখেছেন৷

‘‘জলবায়ু পরিবর্তন অ্যাজেন্ডাগুলোর মধ্যে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে'' ডয়চে ভেলেকে বলছিলেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার-জার্মানির রাজনীতি বিভাগের প্রধান আলোয়েস ফেডার৷ ‘‘কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চু্ক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, সেখানে এ আলোচনা কোনো ফল দিতে পারবে কি না৷'' অন্য দেশগুলো কী করে সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করেন তিনি৷  

বুধবার পরিবেশ বিষয়ক প্রখ্যাত জার্নাল ‘ন্যাচার' আয়োজিত এক সভা থেকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য ছয়টি বিষয়কে সুপারিশ করা হয়৷ সেগুলো হলো: সবুজ জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষ অবকাঠামো, পরিবহন, ভূমির ব্যবহার, শিল্প ও অর্থায়ন৷

‘‘বিজ্ঞান বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের হার পড়তির দিকে নিতে হবে৷ এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও অতিদারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করবে৷'' সভায় বলছিলেন জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সাবেক নির্বাহী সচিব ক্রিস্টিয়ানা ফিগিয়েরেস৷

সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানী ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কার্যকর আলোচনার জন্য চাপ রয়েছে৷

গেল সপ্তাহে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সিভিল২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সুধীসমাজের কথা শোনেন৷ সবার একটাই প্রশ্ন, পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বিষয়টি খারিজ করে দিচ্ছে, সেখানে কতটা সফল হবে এই আলোচনা?

যুক্তরাষ্ট্র এমন অবস্থান নেয়ার পর জলবায়ু পর্যবেক্ষকরা সম্মেলে নজরে রাখবেন ইউরেপ ও চীনকে৷ নজরে থাকবে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মতো যেসব দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রচুর বিনিয়োগ ও কার্বন নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের ওপরও৷ তাদের মতে, এটি দেশগুলোর জন্য একটি পরীক্ষা৷

প্যারিস চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণের মূল্য যেভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, সেভাবেই দেশগুলোকে ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে উৎসাহী করবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা৷ ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক মাইডান ভায়েলের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ করার সময়সীমা নির্ধারণ করতে জি২০-কে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে৷ ফেডার মনে করেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে পরিবেশগত ঝুঁকি নির্ণয়ে এই সম্মেলনে একটি প্রবিধান তৈরি করা উচিত৷

তবে পরিবেশ সুরক্ষায় বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া জার্মানিকে তার ইমেজ ধরে রাখা এবং প্যারিস চুক্তিকে বাঁচানোর মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আনপ্রেডিক্টেবল' প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে একটি অভূতপূর্ব এবং উত্তপ্ত আলোচনায় দেখা যেতে পারে৷