1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেএনইউ দুই, জামিয়া তিন, আলিগড় নয় নম্বরে

৬ জুন ২০২৩

ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মানের তালিকা প্রকাশ করলো ন্যাশনাল ইনস্টিউশনাল রেকিং ফ্রেমওয়ার্ক(এনইআরএফ)। রাজ্যের প্রতিষ্ঠানের মান কমেছে।

https://p.dw.com/p/4SExy
প্রতিবাদেও সবসময় এগিয়ে থাকে জেএনইউ।
প্রতিবাদেও সবসময় এগিয়ে থাকে জেএনইউ।ছবি: DW/S. Ghosh

২০২৩ সালের তালিকা থেকে তিনটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ।  পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কমেছে। দ্বিতীয়ত, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়তাবিরোধীদের পীঠস্থান বলে আখ্যা দেয়া হয়, সেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়(জেএনইউ), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে।  তৃতীয়ত, দেশের প্রথম দশটি কলেজের মধ্যে পাঁচটি দিল্লির, দুইটি কলকাতার এবং দুইটি চেন্নাইয়ের। ফলে দিল্লির কলেজে পড়ার জন্য কেন সারা দেশ থেকে পড়ুয়ারা ছুটে আসেন তা এই তালিকা থেকে স্পষ্ট।

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভালো জায়গায় আছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুরের স্থান চার নম্বরে। গতবছরেও একই স্থানে ছিল তারা। কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মিলিত তালিকার ক্ষেত্রে যাদবপুর একধাপ পিছিয়ে ১৩ নম্বরে আছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরো খারাপ। তারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম ১০-এ নেই।  গতবারের থেকে চারধাপ পিছিয়ে তারা ১২ নম্বরে। আর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিলিত তালিকায় তারা গতবারের তুলনায় আটধাপ পিছিয়ে ২৩ নম্বরে আছে।

আইআইটি খড়্গপুরের মতো প্রতিষ্ঠানও সার্বিকভাবে এক ধাপ পিছিয়ে গেছে।

গবেষণার ক্ষেত্রে যাদবপুর ছয়ধাপ পিছিয়ে ১৯ নম্বরে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গতবার প্রথম একশর মধ্যে ছিল না। তারা এবার ৩৫ নম্বরে আছে।

পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটাই সুখবর। কলেজের প্রথম ১০-এর তালিকায় রাজ্যের দুইটি কলেজ আছে। সেন্ট জেভিয়ার্স পাঁচ নম্বরে এবং রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন কলেজ আট নম্বরে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

গত কয়েক বছর ধরে জেএনইউ, যাদবপুর, জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কম কথা হয়নি। হামেশাই অভিযোগ করা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয়তাবিরোধীদের কেন্দ্র। সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মান যে যথেষ্ট ভালো তা এই তালিকা থেকে প্রমাণ হয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জেএনইউ দুই নম্বরে, জামিয়া মিলিয়া তিন নম্বরে, আলিগড় নয় নম্বরে এবং হায়দরাবাদ ১০ নম্বরে।

এক নম্বরে আছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরু।

কলেজে এক নম্বরে দিল্লি

দেশের প্রথম ১০টি কলেজের মধ্যে দিল্লিরই পাঁচটি। এক নম্বরে আছে মিরান্ডা হাউস, দুইয়ে হিন্দু কলেজ, ছয়ে আত্মারাম সনাতনধর্ম কলেজ, নয়ে কিরোরিমল এবং দশ নম্বরে লেডি শ্রীরাম কলেজ।

পশ্চিমবঙ্গের সেন্ট জেভিয়ার্স ও রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন এবং চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ ও  লয়োলা কলেজ প্রথম দশে আছে। এছাড়া আছে কোয়েম্বাটোরের কৃষ্ণম্মল কলেজ।

প্রতি বছর দিল্লির কলেজগুলোতে পড়ার জন্য সারা দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে। অনেক বিষয় কাট অফ মার্কস থাকে একশ শতাংশ। সেটা যে কেন হয়, তা এই তালিকা থেকে স্পষ্ট। কলেজ শিক্ষার ক্ষেত্রে দিল্লি অন্য রাজ্য ও শহরের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে।

জিএইচ/এসজি (এনআইআরএফ তালিকা)