1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিসিয়ায় নতুন আন্দোলন

২৫ মার্চ ২০১৮

কাজ নেই, কাজের পরিসরও নেই৷ এমনই অভিযোগ তুলে লাগাতার আন্দোলনের পথে নেমেছেন টিউনিসিয়ার সাধারণ মানুষ৷ সরকার বিরোধী গোষ্ঠীরাও যোগ দিয়েছে তাদের সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/2urZv
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Dridi

মাইলের পর মাইল ধূসর রঙের ঢিপি৷ হঠাৎ দেখলে বোঝা মুশকিল ঢিপির তলায় কী লুকিয়ে আছে৷ নেহাতই মামুলি দেখতে৷ অথচ সেই ঢিপিগুলি ঘিরেই প্রতিদিন উত্তেজনা বাড়ছে টিউনিসিয়ার বহু অঞ্চলে৷ শুরু হয়েছে আন্দোলন৷

প্রতিটি ঢিপিই হলো এক একটি ফসফেটের খনি৷ যে ফসফেট থেকে আরো অনেক কিছুর সঙ্গে তৈরি হয় কৃষির সার৷ সারা পৃথিবীর কৃষিজ সারের রপ্তানি করে আফ্রিকা মহাদেশের দেশ টিউনিসিয়া৷ পুরো দেশ জুড়েই রয়েছে এমনই বহু খনি৷ কিন্তু মুশকিল হলো, অভিযোগ উঠেছে টিউনিসিয়ার বহু সাধারণ যুবক ওই খনিতে কাজ পাচ্ছেন না৷ আর সে কারণেই খনিগুলিকে ঘিরে চলছে লাগাতার আন্দোলন৷ তার জেরে বহু খনিতে বার বার কাজ বন্ধও হয়ে যাচ্ছে৷ গত জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন৷

এক সময় ফসফেটের খনিগুলিতেই কাজ করতেনটিউনিসিয়ার সাধারণ মানুষ৷ কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, অভিযোগ ইউনিয়ন এবং খনির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের পরিচিত লোকেদেরই কাজে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন৷ ফলে সাধারণ মানুষ কাজ পাচ্ছেন না৷ এই মুহূর্তে টিউনিসিয়ার সব চেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব৷ হাজার হাজার যুবক কর্মহীন হয়ে বসে আছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, সামনে তিনটিই মাত্র রাস্তা, হয় দেশ ছেড়ে অন্যত্র কাজের খোঁজে যাওয়া, দুই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এবং তিন জেলে যাওয়া৷ এই সমস্ত বক্তব্য সামনে রেখেই লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা৷ অভিনব কায়দায় ঢিপির সামনে ক্যাম্প তৈরি করে চলছে আন্দোলন৷ বয়স্ক মানুষ থেকে অল্পবয়সি তরুণ সকলেই আছেন সেই আন্দোলনে৷ ক্যাম্পের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলনকারীদের খাবার বানিয়ে দিচ্ছেন বৃদ্ধারা৷

কিছুদিন পরেই টিউনিসিয়ায় নির্বাচন৷ আরব বসন্তের হাওয়া লেগেছিল এই অঞ্চলেও৷ ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ এমনিতেই যথেষ্ট৷ তার উপর সাধারণ মানুষের নতুন এই আন্দোলন ঘিরে সন্ত্রস্ত সকলেই৷ স্বাভাবিকভাবেই শাসকেরা বিষয়টিকে আমল দিতে চাইছেন না৷ কিন্তু বিরোধীরা আন্দোলনকারীদের সাহায্য করছেন৷ তাদের বক্তব্য, টিউনিসিয়ার বড় বড় কোম্পানিতে অরাজকতা চলছে৷

অন্যদিকে আন্দোলনের জেরে ফসফেট খনিগুলিতে উৎপাদন কমেছে চোখে পড়ার মতো৷ যদিও খনির বহু কর্মীও আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন৷যদিও তাঁদের চিন্তা, খনি বন্ধ হয়ে গেলে আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি যাবে৷

এসজি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)