1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি

১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ট্রাম্প প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে মূলত কংগ্রেসের উদ্যোগে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঘটে চলেছে৷ এবার সান ফ্রানসিস্কো শহরে রুশ কনসালেট ও আরও দু'টি রুশ দপ্তর বন্ধ করে দেওয়া হলো৷

https://p.dw.com/p/2jBKY
সান ফ্রানসিস্কোয় রুশ কনসালেট ভবন
সান ফ্রানসিস্কোয় রুশ কনসালেট ভবনছবি: Getty Images/AFP/J. Edelson

গত প্রায় আট মাস ধরে অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাতের চক্র এবার নতুন এক মাত্রা পেল৷ সান ফ্রানসিস্কো শহরে রুশ কনসালেট তথা ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে রুশ বাণিজ্য দপ্তর বন্ধ করে দিলো মার্কিন প্রশাসন৷ উল্লেখ্য, সান ফ্রানসিস্কো শহরেই মার্কিন ভূখণ্ডে সবচেয়ে পুরানো রুশ কনসালেট অবস্থিত৷ এই তিনটি দপ্তর বন্ধ করা হলেও সেখানে কর্মরত কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হচ্ছে না৷ তাঁরা দেশের অন্যান্য রুশ দূতাবাস বা দপ্তরে কাজ করতে পারবেন৷ এমনকি বন্ধ হয়ে যাওয়া দপ্তরগুলির মালিকানা রাশিয়ার হাতেই থাকবে৷

বর্তমান এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটেছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে৷ গত ডিসেম্বর মাসে মেরিল্যান্ড ও নিউ ইয়র্কে দু'টি রুশ অবসরযাপন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় মার্কিন প্রশাসন৷ ওবামা প্রশাসনের অভিযোগ, সেখানে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ চলছিল৷ সে সময়ে ৩৫ জন রুশ নাগরিককে গুপ্তচর অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়৷ সাইবার যুদ্ধ চালিয়ে তারা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল৷

এরপর মার্কিন কংগ্রেস ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল৷ তার জবাবে রাশিয়া মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলির কর্মীসংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷ ফলে মাত্র ৪৫৫ জন অবশিষ্ট থাকে৷ অ্যামেরিকায়ও রুশ দপ্তর, কূটনীতিক ও কর্মীর সংখ্যা সেই মাত্রায় কমিয়ে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো৷

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই রাশিয়া ও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন৷ এমনকি তাঁর নির্বাচনের পেছনে রাশিয়ার ‘অবদান' নিয়েও একাধিক তদন্ত চলছে৷ অথচ তাঁরই আমলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছে, যেমনটা শীতল যুদ্ধ শেষ হবার পর আর দেখা যায়নি৷

রাশিয়ার বিরুদ্ধে মূলত সংসদ সদস্যদের এই সব পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনকে চরম অস্বস্তির মধ্যে ফেলছে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিবার এই সব সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রুশ প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাভরভকে টেলিফোনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন তাঁদের সাক্ষাৎ হবার কথা৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)