1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনায় রোহানি

২৩ মে ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে একঘরে করার যে ডাক দিয়েছেন, ইরানের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘‘ইরানকে বাদ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব নয়’’৷

https://p.dw.com/p/2dQw9
Iran Präsident Hassan Rohani
ছবি: Getty Images/AFP/A. Kenare

সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে রোহানি আরব নেতৃবর্গের সঙ্গে ট্রাম্পের সপ্তাহান্তের শীর্ষবৈঠক সম্পর্কে বলেন, ওটা ছিল ‘‘কোনোরকম ব্যবহারিক বা রাজনৈতিক মূল্যবর্জিত একটি তামাশা’’৷

ট্রাম্প ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার যে ডাক দিয়েছেন, সে বিষয়ে রোহানির প্রশ্ন, ‘‘কে বলবে যে, ইরানকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব? কে বলবে যে, ইরানকে বাদ দিয়ে এই অঞ্চল পূর্ণ স্থায়িত্ব উপভোগ করবে?’’

গত রবিবার ট্রাম্প ইসলামি জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, ‘‘লেবানন থেকে শুরু করে ইরাক অথবা ইয়েমেন অবধি, ইরান সেই সব সন্ত্রাসবাদী, সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাপর চরমপন্থি গোষ্ঠীকে অর্থ এবং অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করছে ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যারা গোটা এলাকায় ধ্বংস ও অরাজকতা ছড়াচ্ছে৷’’ ট্রাম্প আরো বলেন, ‘‘যতদিন পর্যন্ত না ইরান সরকার শান্তির জন্য সহযোগী হতে রাজি হচ্ছেন, ততদিন সব বিবেকবান দেশকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার কাজে উদ্যোগী হতে হবে৷’’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রোহানি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ‘আরেকটু থিতু হয়ে’ ইরানকে আরো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবে বলে তাঁর আশা৷

রোহানি মনে করেন, ‘‘মার্কিনিরা আমাদের এলাকাকে ঠিক জানে না, সেটাই হলো সমস্যা৷ তাছাড়া দুর্ভাগ্যক্রমে যারা মার্কিনিদের পরামর্শ বা উপদেশ দেয়, সেই সব শাসকবর্গ, যারা অ্যামেরিকাকে ভুল বোঝায় বা অর্থ দিয়ে অ্যামেরিকার কিছু মানুষকে কিনে নেয়৷’’

তেহরান রকেট পরীক্ষা চালিয়ে যাবে

মার্কিন ও সৌদি সরকারবর্গের মধ্যে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির ব্যাপারে রোহানি বলেন, ‘‘একটি পরাশক্তিকে অর্থ প্রদান করে সন্ত্রাসবাদের সমস্যার সমাধান করা যায় না৷’’

অপরদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে, ‘প্রযুক্তিগতভাবে আবশ্যক হলে’ ইরান ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে৷ তাঁর মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও শান্তির জন্য, আগ্রাসনের জন্য নয় – এবং রকেট পরীক্ষা করার জন্য তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই৷

ইরান ‘আরো বেশি গণতন্ত্র’ চায়

রোহানি সদ্য রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন৷ ‘‘ইরানের জনগণ মধ্যমপন্থার জন্য ভোট দেন, কেননা, তারা জানেন যে, একটি সমৃদ্ধিশালী অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান শুধুমাত্র পুঁজিবিনিয়োগের মাধ্যমে সম্ভব আর পুঁজিবিনিয়োগের জন্য স্বাধীনতা ও বিশ্বের সঙ্গে আদানপ্রদান প্রয়োজন,’’ বলেন রোহানি৷

এসি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)