1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড. ইউনূসের প্রতি ‘অবিচার’এর বিরুদ্ধে সোচ্চার জার্মান সংবাদ মাধ্যম

১৩ মার্চ ২০১১

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে চলমান বিতর্ক সম্পর্কে নিয়মিত মন্তব্য করে চলেছে জার্মান সংবাদ মাধ্যম৷ বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করছে তারা৷

https://p.dw.com/p/10YKy
ড., মুহাম্মদ, ইউনূস, অবিচার, সোচ্চার, জার্মান, সংবাদ, মাধ্যম, Yunus, Bangladesh, Germany, German, Media, Press, Nobel
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার রুন্ডশাউ লিখেছে, তাঁর মুখে মৃদু হাসির যে রেশ লেগে থাকতো, আজ তা হুমকির মুখে৷ দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বয়সের কারণ দেখিয়ে ড. ইউনূসকে তাঁর নিজের গ্রামীণ ব্যাংকের শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো৷ এখন বাংলাদেশ সরকারের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী দেশের চাপই তাঁর একমাত্র ভরসা৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও সেনেটর জন কেরির মতো নেতারা গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণেই আজ ড. ইউনূসকে এমন সংকটে পড়তে হয়েছে, এই প্রচলিত ধারণার উল্লেখ করেছে ফ্রাঙ্কফুর্টার রুন্ডশাউ৷

ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং লিখেছে, নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে আধুনিক যুগে নিয়ে এসেছেন অধ্যাপক ইউনূস৷ আদালতের রায়ের ফলে সেই গৌরবে আংশিক হলেও চিড় ধরেছে৷ বিচারকরা যখন ঢাকায় রায় শোনাচ্ছিলেন, তখন মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কনফারেন্সিং'এর মাধ্যমে ওয়াশিংটনে ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন৷ একদিকে ঢাকার আঞ্চলিক ঘেরাটোপ, অন্যদিকে ওয়াশিংটনে বিশ্বের আঙিনা – এমন প্রকটভাবে বৈপরীত্য ফুটে উঠছিল৷ এক পশ্চিমা দেশের কূটনীতিক মন্তব্য করেছেন, এর ফলে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়ে গেল৷ কারণ দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে রয়েছে৷

সাপ্তাহিক ‘ভেল্ট আম সনটাগ' মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশের অন্য কোনো সংগঠন সাধারণ মানুষের এত কাছাকাছি পৌঁছতে পারে নি, যেমনটা গ্রামীণ ব্যাংক করে দেখিয়েছে৷ ইউনূসকে ক্ষমতাচ্যুত করে সরকার গোটা দেশের তৃণমূল স্তরে গ্রামীণ ব্যাংকের বিশাল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে চাইছে৷ বিষয়টি এখন আর শুধু ড. ইউনূসের মান-সম্মানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র মানুষের কল্যাণের গোটা ধারণাটাই হুমকির মুখে পড়ছে৷ ৭০ বছর বয়স্ক ড.ইউনূস গত ১০ বছর ধরে ব্যাংকের শীর্ষ পদে আসীন রয়েছেন৷ অথচ হঠাৎ এতদিন পর কেন সরকার ও প্রশাসনের টনক নড়লো, সেই প্রশ্নের মধ্যেই জবাব লুকিয়ে রয়েছে৷ শেখ হাসিনার সরকার তাকে যেভাবে হোক চোখের সামনে থেকে দূর করতে চেয়েছিল, আর সেটাই তারা করে দেখালো৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা