1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডয়চে ভেলের কাছে আমি ‘গ্রেটফুল’: শামীম চৌধুরী

২৩ জুন ২০১১

বন শহরে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে জার্মানিতে আসেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক একেএম শামীম চৌধুরী৷ কথা বলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা সংবাদকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে৷ তুলে ধরেন নিজস্ব মতামত৷

https://p.dw.com/p/11iB3
ঢাকায় ডয়চে ভেলের পুরস্কার বিতরণীতে বাংলাদেশ বেতার এর মহাপরিচালক শামীম চৌধুরীছবি: DW

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের এই চতুর্থ আসরে এবারের বিষয় ছিল ‘বিশ্বায়নের যুগে মানবাধিকার - গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ'৷ ২০ থেকে ২২ জুন যাতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১,৬০০ জন প্রতিনিধি৷ এঁদের একজন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ কে এম শামীম চৌধুরী৷ গত এক বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারের সহযোগিতায় এফএম ব্যান্ডে অনুষ্ঠান প্রচার করছে ডয়চে ভেলে৷ তাই শামীম চৌধুরী ছিলেন আমাদের একজন বিশেষ অতিথি৷ গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে ডয়চে ভেলের বিশাল নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে আড্ডার ব্যাপারে তিনি ছিলেন উচ্ছ্বসিত৷

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি – এ বিষয়ে তাঁর দিকে প্রশ্ন উঠে আসতেই তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মানবাধিকার হলো – ‘রাইট টু ইনফরমেশন', ‘রাইট টু ফুড', ‘রাইট টু সিকিউরিটি'৷ তা এই প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকারের অবস্থা অনেক ভালো৷ এবং বিশ্বব্যাপী এই মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্য সাংবাদিকদের একটি বিরাট ভূমিকা আছে৷ সাংবাদিকরা মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে পারেন৷ কোথায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, কোথায় তার অবস্থা উন্নত হচ্ছে – এ বিষয়গুলো কিন্তু সাংবাদিকরা জনগণকে জানাতে পারে৷ তবে অনেক দেশে এই সাংবাদিকরাও কিন্তু নির্যাতিত হন৷''

তাই স্বাভাবিকভাবেই, সাংবাদিকদের একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক এখানে হয়ে উঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আর সেখানেই, ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম পায় তার তাৎপর্য৷ কারণ তিন দিনব্যাপী এই কথোপকথন, এই আলাপচারিতা তো শুধু ডিজিটাল নেটওয়ার্ক নয়৷ এ নেটওয়ার্ক যে অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ, অনেক বেশি আন্তরিক৷

তাই বলে অবশ্য ‘সোশ্যাল মিডিয়া' বা ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক'-কে ভুলে গেলে চলবে না৷ সে টিউনিসিয়ার গণঅভ্যুত্থানই হোক, অথবা সাবরিনার মতো এক প্রতিবন্ধীর প্রতিদিনকার লড়াই – ব্লগ ছাড়া ঐ আন্দোলন, এই গল্প কোনোদিনই কোনো তথাকথিত মিডিয়ার পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়ে শামীম চৌধুরী'র বক্তব্য, ‘‘আসলে অনেক ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের নানা বিষয়ে জানার একটা ঘাটতি থাকতে পারে, ‘অ্যাক্সেস' কম থাকতে পারে৷ সেইক্ষেত্রে ফেসবুক, ট্যুইটার, ব্লগ - যার মাধ্যমে আমরা নিজেদের মতামত স্বাধীনভাবে তুলে ধরি - একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷ এবং আমরা জনগণের মধ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি আরো উজ্জ্বল করতে পারি৷''

স্বাধীনতা আন্দোলনের পর থেকে বাংলাদেশ বেতার জনগণ ও সরকারের মাঝে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করছে৷ আর সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ' কর্মসূচির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতারের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা৷ ফোরামের দ্বিতীয় দিনে রাইন নদীর কোলে জাহাজে বসে সেই কথা বলতে বলতে এক সময় স্তব্ধ হয়ে যান বেতারের মহাপরিচালক শামীম চৌধুরী৷ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকেন দূরের পাহাড়মালার দিকে৷

তাঁর কথায়, ‘‘ঐ জাহাজে সবাই একত্রিত হওয়ার পরে, আমরা একে-অপরকে আরো বেশি চিনেছি৷ আর রাইন'এর দু'পাশে যে সবুজ দেখেছি, সেটা আমাকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বাগেরহাটে নিয়ে গেছে৷ এবং রাইন'এর দু'ধারে যে পাহাড় দেখেছি - ‘বিউটিফুল'! সত্যিই আমি মুগ্ধ৷ এজন্য ডয়চে ভেলের কাছে আমি ‘গ্রেটফুল'৷''

উল্লেখ্য, ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে ভবিষ্যতেও মানবাধিকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে৷ তবে আগামী বছর সম্মেলনের মূল বিষয় হবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি৷ ২০১২ সালের ২৫ থেকে ২৭ জুন এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য