1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব কাঁপাচ্ছে ‘চার ছক্কা হইহই’

২০ মার্চ ২০১৪

টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং-এর তালে তালে ‘ফ্ল্যাশমব’ তৈরির হিড়িক শুরু হয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷ শিক্ষার্থীরা নিজেরা ভিডিও তৈরি করে তা প্রচার করছেন ইউটিউবে৷ এ ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1BTKR
Screenshot Char Chhokka Hoi Hoi Bangladesh Youtube

ক্রিকেট পাগল বাঙালির ক্রিকেট উন্মাদনা ইউটিউবে ঝড় তুলেছে৷ ভিডিও শেয়ারিং এই সাইটটিতে প্রায় প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং দিয়ে তৈরি ‘ফ্ল্যাশমব'৷ নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে এরকমই এক ভিডিও তৈরি করে সাড়া জাগিয়েছেন মার্কিন প্রবাসী বাঙালি তরুণ প্রজন্ম৷ এই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত শেখ মিনহাজ হোসেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সত্যিকার অর্থে অসাধারণ অল রাউন্ড টিম ওয়ার্ক না হলে এমন একটা ইভেন্ট করা সম্ভব হতো না! আজ সব জায়গায় যখন আমাদের ফ্ল্যাশ মবটাকে আলাদা দৃষ্টি নিয়ে দেখাচ্ছে, আলাদাভাবে ‘এম্ফাসাইজ' করছে; গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে!''

টাইমস স্কয়ারে তৈরি বাঙালি তরুণদের ‘ফ্ল্যাশমব' ইউটিউবে প্রদর্শন হয়েছে প্রায় দেড়লাখ বার৷ ভিডিওর নিচে মন্তব্য করেছেন অসংখ্য দর্শক৷ ইউটিউবে সিজান সায়মন লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ ব্যাপার৷ তবে দুঃখের কথা হচ্ছে, এটা (ফ্ল্যাশমব) আমার দোকানের সামনেই হয়েছে, অথচ আমি তা জানতাম না৷'' মস্কোতে আয়োজিত একইরকম একটি ফ্ল্যাশমবও প্রচার হয়েছে ইন্টারনেটে৷ বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একইরকম ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন৷ আর ফেসবুকে সেসব শেয়ার করছেন অসংখ্য মানুষ৷

জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সামহয়্যার ইন ব্লগে খলিলুর রহমান ফয়সাল লিখেছেন সিলেটে ‘ফ্ল্যাশমব' আয়োজন করার কথা৷ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘‘ক্যাম্পাসের মিনি অডিটরিয়ামে যেদিন থেকে মহড়া শুরু তখন থেকেই সাজ সাজ রব৷ ড্যান্স গ্রুপ কোম্পানী ঈগল আমাদের টাইটেল স্টেপ গুলো শিখিয়ে দিচ্ছিল৷ দিনরাত খেটেও তরুণ প্রাণে বিশ্রাম নেই প্রতিটি স্টেপ মুহূর্তেই আয়ত্ত করে নিচ্ছে৷ যে আগে কখনো ড্যান্স করেনি সেও হিপ হপের দোলায় মাথা নাড়াচ্ছে৷''

ফয়সাল লিখেছেন, ‘‘শুধু বাংলাদেশ ও ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থেকেই কাজটা করেছি৷ আমাদের সব পরিশ্রম উৎসর্গ করলাম টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশ টিমের প্রতি৷''

প্রসঙ্গত, টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং-এ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার মিশ্রণের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ৷ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ফেসবুকে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘সত্যি বলতে কি, চার ছক্কা হই হই গানটা প্রথম শোনার পর আমার ভালো লাগেনি৷ মনে হয়েছে, কথা ঠিক মানসম্পন্ন নয়৷ বল গড়াইয়া গেল কই, বল উড়ায়া গেল কই... ঠিক সুন্দর কথা নয়৷ উড়ায়া তো শব্দ নাই, রবীন্দ্রনাথের মতো শব্দ যেন মিলের প্রয়োজনে বানাতে হয়েছে৷ তারপর ইংরেজি বাংলা খিচুড়ি৷

তবে গানটির বর্তমান জনপ্রিয়তা বিবেচনায় এনে তিনি লিখেছেন, ‘‘এখন মনে হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে সুন্দর গান৷ আর যে হারে এটা নিয়ে ফ্ল্যাশমব হচ্ছে সারা পৃথিবী জুড়ে, তাতে হয়তো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাশমবের গান হিসেবে এটার ঠাঁইও হয়ে যেতে পারে৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য