1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেখুনতো, ইউটিউব খুলছে কিনা...

জাহিদুল হক১ এপ্রিল ২০১৩

রবিবার যারা ইউটিউবে গিয়েছেন তারা হয়ত হোমপেজে ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটা ভিডিও দেখেছেন৷ তাতে বলা আছে, মধ্যরাত থেকে ইউটিউব বন্ধ হয়ে যাবে!

https://p.dw.com/p/187eQ
ছবি: picture-alliance/dpa

ঐ ভিডিওতে টিম লিস্টোন নামের একজন বলছেন, গত আট বছর ধরে ইউটিউব আসলে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এসেছে৷ এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ভিডিওটি খুঁজে পেতে চান৷ আর এর ফল নাকি জানা যাবে দশ বছর পর, ২০২৩ সালে! ভিডিওতে টিম লিস্টোনের পরিচয় দেয়া হয়েছে ‘কম্পিটিশন ডিরেক্টর' হিসেবে৷

এরপর ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সালার কামাঙ্গার বলছেন, গত আট বছরে ইউটিউবে গড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় ৭০ ঘণ্টার মতো ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে৷

ভিডিওতে সব ব্যবহারকারীকে শেষবারের মতো ইউটিউবের ভিডিওগুলো দেখে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ কেননা এরপর ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হবে!

অবশেষে জানা গেছে যে, ব্যবহারকারীদের ‘এপ্রিল ফুল' করতেই ঐ ভিডিও৷

‘এপ্রিল ফুল'-এর ইতিহাস সম্পর্কে একদল বলেন যে, এর সঙ্গে মুসলমান নিধনের বিষয় জড়িত৷ তারা বলতে চান, স্পেনের একসময়কার রানি ইসাবেলা আর রাজা ফার্ডিনান্ড মুসলিম অধ্যুষিত গ্রানাদা শহর দখল নিতে আক্রমণ চালিয়েছিলেন৷ এক পর্যায়ে মুসলিম বাহিনীর অবস্থা খারাপ হলে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দিতে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার কথাও বলা হয়েছিল৷ এরপর মসজিদে আগুন ধরিয়ে সবাইকে পুড়িয়ে মারা হয়৷ দিনটা নাকি ছিল এপ্রিলের ১ তারিখ৷

যারা উপরের ঘটনা বিশ্বাস করেন তারা ফেসবুক সহ অন্যান্য মাধ্যমে বিষয়টি শেয়ার করেন৷ গত কয়েক বছর ধরেই তারা এটা করে আসছেন৷

এ ভুল ভাঙাতে সচলায়তন ব্লগে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী গত বছর একটি লেখা লেখেন৷ তাতে তিনি মুসলমানদের পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি একটি ‘ভ্রান্ত গল্প' বলে মন্তব্য করেন৷ তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন৷ এরপর অবশ্য বিভিন্ন সূত্রের উল্লেখ করে ‘এপ্রিল ফুল'-এর আসল ইতিহাসও বর্ণনা করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য