1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রেনেড হামলা

২১ আগস্ট ২০১৫

১১ বছর আগের সেই দিনটির কথা সবাই স্মরণ করছে৷ আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা, তিন শতাধিককে আহত করার সেই দিন৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও অনেকেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সেই ঘটনায় নিহত এবং আহতদের৷

https://p.dw.com/p/1GJRf
Premierministerin Bangladesch Sheikh Hasina
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট তারিখটি শোকে ঢাকা৷ ২০০৪ সালের এই দিনেই ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা চালানো হয়৷ আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং তিনশ'রও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন সেই বর্বরোচিত হামলায়৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম খুব গুরুত্ব দিয়েই দেশের ইতিহাসের ওই কালো দিনটিকে স্মরণ করছে৷

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ সংখ্যা ৷ তাতে উঠে এসেছে তখনকার বিএনপি-জামায়াত সরকার দিনের আলোয় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটিকে কীভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল ৷ বিচারপতি জয়নুল আবেদিন বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেশ করার মাধ্যমে কীভাবে পুরো বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন সেই বিষয়েও একটি প্রতিবেদন আছে ৷ জজ মিয়ার কাহিনিও তুলে ধরেছে ডেইলি স্টার ৷ দৈনিক কালের কণ্ঠ তুলে ধরেছে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে দেহরক্ষী মাহবুবের জীবন বিসর্জনের ঘটনা৷

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও এ নিয়ে লেখার ছড়াছড়ি৷ ডেইলি স্টার থেকেই সেদিনের নারকীয় ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছেন একজন৷

ঘটনার দু'দিন পর বাংলাদেশের এক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার শেয়ার করেছেন একজন৷

সেদিন গ্রেনেড বিস্ফোরণে দু'পা উড়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের৷ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত নিয়ে কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মেনেছিলেন তিনি৷ টুইটারে তাঁকে স্মরণ করে একজন লিখেছেন, ‘‘আইভি আপার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা আপনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি৷''

সেদিন আওয়ামী লীগের আরেক শীর্ষ স্থানীয় নেতা এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কাঁধে করে সভাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তটি স্মরণ করেছেন একজন৷

সামহয়্যার ইনব্লগে এ হান্নান তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ওপর চালানো ১৯টি হামলার কথা৷

এ. হান্নান তাঁর লেখা শেষ করেছেন এভাবে, ‘‘কী অপরাধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের? বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র জন্ম দেওয়াই কি অপরাধ? কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে'৷''

টুইটারেও একজন শেয়ার করেছেন শেখ হাসিনার ওপর পরিচালিত ১৯টি হামলা বিষয়ক প্রতিবেদন৷ প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘‘১৯ বার ব্যর্থতার পরও হাসিনার শত্রুরা সক্রিয়৷''

২১শে আগস্টের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতার কথা স্মরণ করে সামহয়্যার ইনব্লগে একটি কবিতা লিখেছেন মোহাম্মদ আবুল হোসেন৷ কবিতার নাম, ‘ধিক এসব জানোয়ারকে'৷ তিনি লিখেছেন –

‘‘ধিক এ সব জানোয়ারকে

শত শত চোখ, মানুষের পাহাড়, ক্যামেরার ফ্লাশ

এইখানে এই বাধাহীন আমন্ত্রণে

পশুরাও করে উল্লাস, নির্বাক তাই ডা. মিলন

রক্ত ঝরা বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বইয়রে

পবিত্র ভূমি এ আমার স্বপ্ন সাজানো বিশ্ববিদ্যালয়

এখানেও পশুর আনাগোনা মাঝে মাঝে

চাপাতি বন্দুক, গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়

বোনের ওপর হায়নার হিংস্র থাবায়

আমি স্তব্ধ হয়ে যাই, ঘৃণা উথলে ওঠে

বোবা কান্না গুমড়ে মরে ঘরে ঘরে

ধিক এসব জানোয়ারকে

ভরা বসন্তওে ফোটে দু-একটি মাকাল ফল

এগুলোকে বেছে বেছে নতুন স্বপ্ন সাজাবো বন্ধু

সেদিন পাশে থেকো৷''

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য