1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমারের সেনারা

১২ মার্চ ২০১৮

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন খবর দিচ্ছে৷ তারা বলছে, যেসব গ্রামগুলো রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ছিল, সেখানে এখন সেনা ঘাঁটি ও রাস্তা তৈরি করছে তারা৷

https://p.dw.com/p/2uBQV
Myanmar Luftaufnahme eines verbrannten Rohingya Dorfes in der Nähe von Maungdaw
ছবি: Reuters/S. Z. Tun

একইসঙ্গে আদৌ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার ব্যাপারে মিয়ানমারের কোনো আগ্রহ আছে কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছে সংগঠনটি৷ সোমবার এমন মত প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি৷

‘রাখাইন রাজ্যের পু্নর্গঠন' নামে নতুন এক রিপোর্টে অ্যামনেস্টির বিশ্লেষকরা জানান যে, মিয়ানমার সেনারা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নতুন ঘাঁটি, হেলিপ্যাড ও রাস্তা তৈরি করছে৷

এই বিবৃতির সমর্থনে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করেছে অ্যামনেস্টি, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া গ্রামগুলোতে সামরিক অবকাঠামো গড়ে উঠছে৷

‘‘ছবিগুলোই বলে দিচ্ছে যে, মিলিটারিরা ব্যাপকহারে জমি দখল করছে৷'' বলেন অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান৷

‘‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেই মিলিটারি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তারাই এখন জমি দখল করে অবকাঠামো গড়ে তুলছে৷''

গত মাসে আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একই রকমের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে৷ সেই রিপোর্টে তারা বলে যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে৷

তবে মিয়ানমার এই অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছে৷ তাদের এক সরকারি মুখপাত্র বলেন যে, তারা বুলডোজার দিয়ে পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিষ্কার করছিলেন৷ কিন্তু কোনো সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে না৷

সেখানে গ্রামবাসীর পুনর্বাসনের জন্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে৷

গত বছর আগস্টে রাখাইন রাজ্যে একটি জঙ্গি হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ অপারেশন শুরু করে মিয়ানমার সেনারা৷

তাদের এই অভিযান সারা বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হয়৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতি নিধন' বলে আখ্যায়িত করে৷

জেডএ/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান