1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়াতে মসজিদে হামলা

১৪ অক্টোবর ২০১২

নাইজেরিয়াতে একটি মসজিদে সশস্ত্র দৃষ্কৃতিকারীদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে৷ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে একটি ডাকাত দল সেখানে হামলা চালায়৷ এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷

https://p.dw.com/p/16Prc
epa03259333 Nigerians look at the remnants of a suicide bombers vehicle at the Christ Chosen Church of God Rukuba following the bomb blast the previous day in Jos, Nigeria, 11 June 2012. At least two churches were hit by attacks in Nigeria on 10 June 2012, leaving at least two dead and several wounded, officials confirmed. At least five people were injured when gunmen opened fire, spraying bullets into the congregation of a church in the town of Biu in Borno state. Police said scores were injured and a woman died. In a separate attack in the central state of Jos, a suicide blast hit churchgoers at around 11 am as they left a Sunday service, officials said. EPA/STR +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর, নাইজেরিয়ার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মাঝামাঝি অবস্থিত কাদুনা রাজ্যের ডোগো ডাওয়া নামের একটি গ্রামের মসজিদে এই হামলা চালানো হয়৷ মসজিদ থেকে মানুষজন নামাজ শেষ করার পথে বাড়ি ফেরার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা৷ তাদের গুলিতে মসজিদের দেয়ালও ঝাঝরা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে৷ নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানি উসমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে এটা ছিলো ডাকাত দলের হামলা৷ এখন পর্যন্ত আমার কাছে ২০ জন নিহতের খবর রয়েছে৷ সেনা কর্মকর্তা সানি উসমান আরও জানান যে, এই হামলার কারণ হচ্ছে ডোগো ডাওয়া গ্রামে দুই দলের মধ্যে অন্তর্কোন্দল৷ আগে থেকেই সেখানকার দুই দল ডাকাতের মধ্যে রেষারেষি চলছে বলে তাঁর দাবি৷ এই হামলা প্রতিশোধের জন্য হতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷ তবে এটিকে সাম্প্রদায়িক হামলার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি উড়িয়ে দেন৷

কাদুনা রাজ্যের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বির্নিন গোয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমাদের ধারণা একটি ডাকাতদলের মধ্যে কোন ঝামেলা৷ হয়তো তারা তাদের কোন সদস্যকে হারানোর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এই হামলা চালিয়েছে৷

উল্লেখ্য, কাদুনা রাজ্যে মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে সংঘাতের একাধিক ঘটনা রয়েছে৷ এই রাজ্যটি নাইজেরিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তরাঞ্চল এবং খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের মাঝামাঝি অবস্থিত৷ এখানে এর আগেও খ্রিষ্টানদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এই সব ঘটনার পেছনে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী বোকো হারামের সংশ্লিষ্টতার খবর জানা গেছে৷ তাই মসজিদে এই হামলা সাম্প্রদায়িক কিনা সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ যদিও এখন পর্যন্ত কোন দল এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়াতে গত এক বছরে একাধিকবার গির্জায় হামলা হয়েছে৷ সেসব হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ দেশটিতে মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত নতুন কিছু নয়৷

আরআই / এএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য