1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্রয়প্রার্থীদের অর্ধেকের আপিল সফল

২০ জানুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে যাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হয়েছিল, তাদের অনেকেই আপিল মামলায় জিতছেন৷ ফলে জার্মান অভিবাসন দপ্তরের কাজ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2r8in
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte

জার্মানির ‘স্যুডডয়েচে সাইটুং' পত্রিকা জানায় যে, জার্মান অভিবাসন কর্তৃপক্ষ যাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে, তাদের অর্ধেকই বিভিন্ন প্রশাসনিক আদালতে আপিল করে সফল হচ্ছেন৷

পত্রিকাটি বামদলের আনীত একটি সংসদীয় প্রশ্নের সরকারি জবাব থেকে তাদের রিপোর্ট পেশ করে৷ দৃশ্যত, ২০১৭ সালের প্রথম নয় মাসে নাকচ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের মামলার রায় ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আপিলকারীদের পক্ষে যায়৷ ২০১৬ সালের প্রথম নয় মাসে ঐ পরিসংখ্যান ছিল মাত্র ২৯ শতাংশ৷

যাঁরা আপিল করে সফল হয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন সিরিয়া থেকে আগত উদ্বাস্তুরা৷ তাঁদের ৬৯ শতাংশ আপিল গ্রাহ্য হয়৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আফগান উদ্বাস্তুরা, যাদের ৬১ শতাংশ আপিল মঞ্জুর হয়েছে৷ অপরদিকে মরক্কো ও আলজেরিয়া থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে সফল আপিলের অনুপাত হলো যথাক্রমে ১২ এবং ১০ শতাংশ৷

মরক্কো ও আলজেরিয়া থেকে আগত উদ্বাস্তুদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গ্রাহ্য হওয়ার অনুপাত যখন পাঁচ শতাংশের নীচে নেমে যাবে, তখন ঐ দু'টি দেশকে ‘নিরাপদ আগন্তুক দেশ' বলে ঘোষণা করা হবে – যার অর্থ জার্মান আইন অনুযায়ী ঐ দু'টি দেশ থেকে আগতদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি পেতে ব্যর্থদের স্বদেশে ফিরে যেতে হবে৷

বহু সফল আপিল আবার পাল্টে যাচ্ছে

আপিল সফল হবার মানে অধিকাংশ উদ্বাস্তু জেনেভার উদ্বাস্তু চুক্তি অনুযায়ী সুরক্ষা পাবেন৷ কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সবাইকে জার্মান সংবিধানের বিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে৷ জার্মানিতে শুধুমাত্র সেইসব রাজনৈতিকভাবে নিপীড়িত ব্যক্তিদের আশ্রয় পাবার কথা, যারা কোনো তৃতীয় নিরাপদ দেশ থেকে জার্মানিতে আসেননি৷

এই পার্থক্যের একটি ফলশ্রুতি হলো, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বৈধভাবে তাদের পরিবারবর্গকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে পারেন৷

বাম্ফের প্রত্যাখ্যান
বাম্ফের প্রত্যাখ্যানছবি: picture alliance/ZB/B. Pedersen

বাম্ফের প্রত্যাখ্যাত প্রায় সব নাকচ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী সাধারণত আপিল করে থাকেন বলে স্যুডডয়েচে সাইটুং জানিয়েছে৷ অপরদিকে বহুক্ষেত্রে আপিল সফল হলেও, বাম্ফ এই সব রায়ের নতুন পর্যালোচনা দাবি করার পর তাঁদের অধিকাংশ দৃশ্যত আবার পাল্টে দেওয়া হয়, যদিও এর কোনো বাস্তব পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়নি৷

বাম্ফের প্রত্যাখ্যান ‘রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন'

উদ্বাস্তুদের আপিল সংক্রান্ত প্রশ্নটি তুলেছিলেন বামদলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উলা ইয়েল্পকে৷ তাঁর মতে ‘‘রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সাফল্যের এই উচ্চ হার'' (বাম্ফের) আদত সিদ্ধান্তগুলির মান সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রাখে৷ ইয়েল্পকের মতে, এটা স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের নিরস্ত করার রাজনৈতিক ইচ্ছা থেকেই বাম্ফের এইসব অযৌক্তিক প্রত্যাখ্যানের অবতারণা ঘটেছে৷

‘‘এই সব সিদ্ধান্তের ফলে যারা সুরক্ষার প্রত্যাশায় আসছেন, তাদের আবার যুদ্ধ, নির্যাতন ও নিপীড়নের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ও সবাই তা নীরবে মেনে নিচ্ছেন,'' বলেন ইয়েল্পকে৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য