1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী-পুরুষের বৈষম্য শুরু হয় রূপকথায়

২১ এপ্রিল ২০১৭

সিন্ডারেলার উপর তার সৎমা আর সৎবোনেরা অত্যাচার করত৷ এক পরীর কল্যাণে সে সাজপোশাক পেল, রাজপ্রাসাদে নাচতে গেল, রাজপুত্তুরকে বিয়ে করল – এ সব ফেলে দেওয়ার সময় আসেনি কি? প্রশ্ন তুলেছেন ইটালির দুই নারী৷

https://p.dw.com/p/2bgDv
Österreich Alma Deutschers Oper Cinderella feiert Premiere in Wien
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Fuchs

ভিডিওটি আসলে একটি বই-এর বিজ্ঞাপন৷ তবে বিজ্ঞাপনটি অভিনব৷ বিজ্ঞাপনের সূচনাতেই দেখবেন কার্টুনে সিন্ডারেলার নয়, সিন্ডারফেলার কাহিনি৷ গল্পটা একই, শুধু সিন্ডারফেলা এক যুবক; তার সৎবাপ আর সৎভাইরা তার ওপর অত্যাচার করে, তার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়৷

সিন্ডারফেলা আর কী করবে, অশ্রু ঝরিয়ে কাঁদে৷ তখন এক ফেয়ারি গডফাদার – আমাদের দেশের রূপকথা হলে হতো পরীর বদলে বামন, কিংবা ব্যাঙ্গমীর বদলে ব্যাঙ্গমা – যা-ই হোক, সেই পুরুষ পরীটি এসে সিন্ডারফেলাকে নতুন সুট আর একজোড়া কাচের ‘লোফার' দিয়ে পাঠাল নাচসভায়৷

 

এখানে একটা মজার সংলাপ আছে৷ সিন্ডারফেলা বলছে: ‘‘কাচ কি বিপজ্জনক নয়?'' বামন বলছে: ‘‘সুন্দর হওয়ার মানে যন্ত্রণা সহ্য করা, সেটাও জানো না?''

সিন্ডারফেলা তো নাচছে রাজকন্যের সঙ্গে৷ কাঁটায় কাঁটায় ঠিক রাত বারোটায় তার ‘কারফিউ'! কাজেই সিন্ডারফেলাকে তার কাচের লোফার ফেলে পালাতে হলো৷ রাজকন্যে পরদিন পেয়াদা পাঠালেন তার খোঁজে, ইত্যাদি...

এখানেই ক্যাঁচ করে শেষ হয়ে গেল কার্টুন৷ ভেসে উঠল একটি প্রশ্ন: ‘‘আমাদের ছেলেদের যদি আমরা এরকম একটা রূপকথা পড়ে না শোনাই, তবে মেয়েদের পড়ে শোনাব কেন?''

এর পরে উদয় হলেন এলেনা ফাভিলি ও ফ্রাঞ্চেস্কা কাভালো – এবং তাদের লেখা বইটি পেশ করলেন৷ বইতে ১০০ জন মহিয়সী নারীর কীর্তি-কাহিনি বিধৃত করা আছে, ছবিসহ; এদের মধ্যে আছেন রেস্টুরেন্টের শেফ, চিত্রকর, বিচারক, টেনিস খেলোয়াড়, সব পেশার মহিলা৷ রচয়িতাদের বক্তব্য হলো, তারা সম্প্রতি উপলব্ধি করেছেন যে, তারা তাদের মেয়েবেলায় যত গল্পকাহিনি শুনেছেন বা পড়েছেন, তার কোনোটিতে একটি মেয়ে তার নিজের ভাগ্য নিজের হাতে তুলে নেয়নি: সবসময়েই কোনো রাজপুত্র বা ভাই কিংবা – আর কিছু না হলে – ইঁদুর তাদের সাহায্য করেছে৷

 

এর ফলে মেয়েরা এলিমেন্টারি স্কুলে পৌঁছানোর সময়েই তাদের আত্মবিশ্বাস ছেলেদের চেয়ে কম হয়৷ কিন্তু কেন এরকম হবে? ‘‘প্রতিটি মেয়ের উচিত এই ভেবে বড় হওয়া যে, সে যা চায় তাই হতে পারে৷'' তাই দুই বান্ধবী ‘গুড নাইট স্টোরিজ: রেবেল গার্লস' নাম দিয়ে এই বইটি বার করেছেন৷ আপাতত ইংরেজিতে, তবে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদের অনুরোধ ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে৷

এসি/এসিবি