1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামলাকারীর মৃত্যুদণ্ড চান ট্রাম্প

২ নভেম্বর ২০১৭

নিউ ইয়র্কের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে ছাড়ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার পর তার মৃত্যুদণ্ডের ডাক দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2mslM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/K.Lamarque

২৯ বছর বয়স্ক উজবেকিস্তানের নাগরিক সায়ফুল্লো সাইপভ হামলার সময়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল৷ বুধবার তাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে আদালতে হাজির করা হয়৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে মদত দেবার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাইপভকে৷ এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে মার্কিন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷ এ ছাড়াও হিংসা ও মোটরগাড়ি ধ্বংস করে ৮ জনের মৃত্যুর কারণ হবার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে৷

কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী, সাইপভ প্রায় ২ মাস ধরে সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ এর আগেও সে একটি গাড়ি ভাড়া করে ম্যানহ্যাটন এলাকার ওয়েস্ট সাইডে কয়েকবার গিয়েছে৷ তবে কোনো অপরাধ না করায় পুলিশের রেকর্ডে তার নাম ওঠেনি৷ অ্যামেরিকায় পৌঁছানোর পরই সে ধীরে ধীরে ব়্যাডিকাল ইসলামি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে৷ পুলিশ তার মোবাইল ফোনে আইএস ভিডিওসহ প্রচারণামূলক অনেক ফাইল উদ্ধার করেছে৷ উবার কোম্পানির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করার আগেও তার সম্পর্কে যথেষ্ট খবরাখবর নেওয়া হয়েছিল৷ তখনও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি৷

গ্রেপ্তার হবার পর সাইপভ হাসপাতালে তার ঘরে আইএস-এর পতাকা টাঙাতে চেয়েছিল৷ জেরার সময়ে সে বলে, এই হামলা চালিয়ে সে সন্তুষ্ট বোধ করছে৷ যত বেশি সম্ভব মানুষকে হত্যার আশায় হামলার জন্য সে হ্যালোউইন উৎসবের দিনটি বেছে নিয়েছিল৷ বাধা না পেলে ব্রুকলিন সেতু পর্যন্ত ট্রাক চালিয়ে আরও বেশি মানুষ হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তার৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের হামলা সম্পর্কে নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন৷ প্রথমে তিনি সাইপভকে গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানোর কথা বলেন৷ তারপর টুইট বার্তায় লেখেন, তার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত৷

সায়ফুল্লো সাইপভ আইনি পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় ট্রাম্প নিজের প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন৷ বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ডাইভার্সিটি ভিসা' কর্মসূচির কড়া সমালোচনা করে বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কড়া ‘এক্সট্রিম ভেটিং' পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন৷ আইন মন্ত্রণালয়েরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)