1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিশানাবাজ সেনাদের লক্ষ্যে পরিণত সিরিয়ার আন্দোলনকারীরা

২৬ এপ্রিল ২০১১

সিরিয়ার আন্দোলনকারীদের উপর নির্যাতনের খড়্গ ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে সে দেশের সরকার৷ আন্দোলন চলছে সীমান্ত শহর দারায়৷ সেখানে সরকারী বাহিনীর অত্যাচারও থেমে নেই৷

https://p.dw.com/p/1145H
ছবি: picture alliance/abaca

সিরিয়ার এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে৷ রাজধানী দামাস্কাস থেকে মার্কিন দূতাবাসের একান্ত প্রয়োজনীয় কর্মীদের ছাড়া সকলকে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে৷ ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা তাদের সহযোগীদের নিয়ে সিরিয়ার এহেন পরিস্থিতিতে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে৷

সীমান্ত শহর দারায় অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর ট্যাংক বহর৷ তবে সেনাবাহিনীর সেই রক্তচক্ষু এবং গুলিকে অগ্রাহ্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী কর্মীরা৷ সোমবার ঐ শহরে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে অন্তত ২৫ জন৷

ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই আন্দোলন এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আর এই সময়ের মধ্যে সরকারী বাহিনীর গুলিতে অন্তত সাড়ে তিনশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা৷ দারা'র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা বলে দিয়েছেন, প্রাণ দেবেন, কিন্তু তাঁরা পিছু হটবেন না৷ সেখানে সেনাবাহিনী যাকে সামনে পাচ্ছে, তাকেই পেটাচ্ছে৷ নিশানাবাজ সেনারা লক্ষ্য ঠিক করে আন্দোলনকারীদের বুকে গুলি ছুঁড়ছে৷ নিষ্ঠুর তাদের ব্যবহার - বলছেন আন্দোলনকারী আব্দুল্লাহ আবাজিদ৷ তবে সে দেশের সেনাবাহিনী জনগণের উপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, তারা স্থানীয় মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে কেবল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দারার মানুষকে উদ্ধার করতে সেখানে অবস্থান নিয়েছে৷

এদিকে, সিরিয়ার আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম হেগ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার সেনাদের সহনশীল হতে বলুন৷' তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে৷ তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে, যাতে সিরিয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট হতে পারে যে বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের দেশের পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে৷

এদিকে, ব্রিটেন ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, এবং পর্তুগাল জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট আসাদের এই দমনপীড়ন এবং মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করতে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক