1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বন্যায় ঘরছাড়া আরো ১০ লাখ

২৭ আগস্ট ২০১০

মাস গড়াতে থাকলেও পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে না৷ বরং দক্ষিণাঞ্চলে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে৷ ঘরহারা মানুষের সংখ্যা আরো ১০ লাখ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও৷

https://p.dw.com/p/Oxqh
বন্যায় ঘরহারা মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছেছবি: AP

পানির তোড়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ভেসে গেছে আরো ১০ লাখ লোকের ঘর৷ আজ শুক্রবারই একথা জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এই নিয়ে বন্যায় গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৭০ লাখ-এ দাঁড়ালো৷ বন্যায় এখন ভাসছে সিন্ধু প্রদেশ৷ জাতিসংঘের মুখপাত্র স্ট্যাসি উইনস্টোন বললেন, সেখানে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ধসে যাওয়ায় মানুষকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে৷ পাকিস্তানের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা৷ পরিস্থিতি কী রকম, তার বর্ণনা দিলেন সমাজকর্মী সারিম বার্নে৷ ‘‘পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ৷ বিশাল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত৷ নিজেদের রক্ষার জন্য সব চেষ্টাই করছে তারা৷ কিন্তু কুলিয়ে উঠছে না৷'' দাতব্য সংস্থা আনসার বার্নে ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সারিম বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসেছেন৷

Pakistan Flut Hochwasser Überschwemmung Seuchengefahr
নিজেদের রক্ষার জন্য সব চেষ্টাই করছে তারাছবি: AP

বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৬শ লোকের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের ধারণা, এই সংখ্যা আরো বেশি৷ এই দপ্তরের মুখপাত্র আমল মাসুদ সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘পুরো চিত্রটি আমাদের জানা নেই৷ অনেকে নিখোঁজ আছেন৷ পানি নেমে গেলে আরো লাশের সন্ধানও মিলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে৷'' এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছে উত্তরাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে৷ সেখানে ১ হাজারের বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ অতিবৃষ্টির ফলে এই বন্যার শুরুটা হয়েছিল এই এলাকাতেই৷

জাতিসংঘের হিসেবে বন্যায় এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই কোটি৷ ভেসে গেছে ১২ লাখ ঘর৷ তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি৷ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী খান জারদারি এরই মধ্যে বলেছেন, এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে বছর তিনেক লেগে যাবে৷

পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ধসে যাওয়ায় নাজুক এখন দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি৷ সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা শহরের ৭০ শতাংশ মানুষই ঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে৷ সুজাওয়াল, দারো এবং মিরপুর বাটোরো শহরগুলি থেকেও মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ উত্তরাঞ্চলে পানি কমলেও সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে রোগ-ব্যাধি৷ জাতিসংঘ বলছে, দুর্গত এলাকার ৩৫ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না৷ খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে কর্মরত চিকিৎসক সাঈদ রসুল বললেন, ‘‘ বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে না৷ পরিবেশও নোংরা হয়ে পড়েছে৷ আর এই কারণেই মানুষ অসুস্থ হচ্ছে৷ আর ছোট্ট একটি জায়গায় অনেক লোক একসঙ্গে থাকছে৷ তাই একজন আক্রান্ত হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷''

দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণকাজ চালিয়ে গেলেও তাতেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, তালেবান বাহিনী হামলা চালাতে পারে বিদেশি ত্রাণকর্মীদের ওপর৷ আর মনে ভয় নিয়ে যে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা যায় না, তা বলছেন খোদ ত্রাণকর্মীরাই৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য