1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের গাড়িতে ঢিল দেয়ায় এমন শাস্তি!

১১ মে ২০১৫

নারী লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের হামলার শিকার হন বিক্ষোভকারীরা৷ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন ফেসবুক এবং টুইটারে চলছে তুমুল আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/1FNxU
Bangladesch Protest gegen Pakistan 19.12.2013
(ফাইল ফটো)ছবি: DW

এই ঘটনার ৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন স্বপন৷

ইংরেজি দৈনিক ‘দি ডেইলি স্টার' টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে, মা দিবসে এক নারী বিক্ষোভকারীর উপর পুলিশের হামলা৷ টুইটারে দেয়া লিংকে ক্লিক করে ডেইলি স্টারের যে প্রতিবেদনটি পাওয়া গেল তার শিরোনাম ‘‘তার কী দোষ?''

ঘটনার বিভিন্ন ছবিও টুইটারে শেয়ার করেছেন অনেকে৷

বাপ্পি লিখেছেন, ‘‘আমরা যদি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে না পারি তার মানে হলো বাংলাদেশ নারীদের জন্য নিরাপদ নয়৷''

আয়ুব খান লিখেছেন, এখানে মানবতা আর ন্যায়বিচার নেই, সব শেষ হয়ে গেছে৷

ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘নিপীড়ক গ্রেপ্তারের খবর নেই, পারে কেবল এইসব করতে৷'' আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘‘কেবল পুলিশকে দুষলে হবে? পুলিশ একটা বাহিনী এবং সে ওপরের নির্দেশে চলে৷''

একই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষক গীতিআরা নাসরিন ফেসবুকে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছেন৷ যেমন এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বর্ষবরণে টিএসসিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাওয়াই তাহলে অপরাধ!!!'' তাঁর আরেকটি স্ট্যাটাস, ‘‘‘নারী অবলা', এই মিথে অন্ততঃ বীরপুঙ্গবেরা বিশ্বাস করে না৷ উৎসবের সাজে তাকে নিপীড়ন করতে একদঙ্গল শিশ্নধারী লাগে৷ নিরস্ত্র অবস্থায় লাথি মারতে লাগে পুরো একটা নিরাপত্তা বাহিনী৷''

এছাড়া ঘটনার দু'টি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, পুলিশের রায়ট কারে মাটির খালি টব ছুড়ে মারায় ইসমত জাহানকে গ্রেপ্তার করা যেতেই পারে৷ কিন্তু তার বদলে যা করা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ ছবি দু'টির একটিতে এক নারীকে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে৷ অন্যটিতে, মেয়েটির দিকে এক পুলিশ সদস্যের পা তুলে মারতে উদ্যত হওয়ার মুহূর্ত দেখা যাচ্ছে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক ছবি দু'টি সংগ্রহ করেছেন প্রীতম আহমেদের স্ট্যাটাস থেকে৷ ঐ স্ট্যাটাসে প্রীতম ছবি দু'টো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘কার পক্ষ নেব? পিকেটার নাকি পুলিশের??''

এই স্ট্যাটাসের নীচে মন্তব্যের ঘর রাকিব সজল লিখেছেন, ‘‘ফেবু'র বন্ধুরা শেষোক্ত ছবিটা (ঢিল ছোড়া) নিয়াই মাতামাতি করতেছে,অথচ এর আগে ঐ নারী যে ঐ কর্ম করছে তা সবাই সযতনে এড়িয়ে গেছে...৷ আগে মিডিয়া ট্রায়াল-এর নাম শুনছি৷ এখন আরেক নতুন ট্রায়াল বের হইছে আর তা হলো ‘ফেসবুক ট্রায়াল'....এখানেও জিরোকে হিরো আর হিরোকে জিরো করার সুব্যবস্থা আছে৷''

একই ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আশরাফুল আলম খোকন৷ তাঁর ফেসবুক থেকে জানা যায়, তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ছবি দু'টি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘দক্ষ বুঝে পক্ষ নিন....! (বইন'গো ইহাকে বিপ্লব বলে না)৷'' তাঁর এই স্ট্যাটাসের নীচে সালাউদ্দিন স্বপন লিখেছেন, ‘‘কাহিনি তাইলে এইডা মাইয়া যখন ইট মারবো তখন সে প্রতিবাদী, পুলিশ যখন পাল্টা আঘাত দিবো তখন সে অবলা নারী!!!!''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য