1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিস হামলায় জেহাদি চক্রান্ত?

২০ জুন ২০১৭

সোমবার প্যারিসে পুলিশ ভ্যানের উপর হামলার তদন্ত চলছে৷ হামলাকারী জেহাদি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রশাসন সন্ত্রাসী হামলার হুমকি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/2ezOH
প্যারিসে হামলা
ছবি: Reuters/C. Platiau

সোমবার প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে শঁজেলিসে সড়কে এক ব্যক্তি গাড়ি বোঝাই অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে পুলিশের একটি ভ্যানে সামনে থেকে ধাক্কা মারে৷ গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়৷ তবে প্রায় অলৌকিকভাবে এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷ পুলিশ প্রথমে এই হামলাকে সাধারণ দুর্ঘটনা হিসেবেই গণ্য করছিল৷ এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, তারা প্রথমে হামলাকারীকে গাড়ি থেকে বের করে গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করে৷ পুলিশের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, সেই গাড়ির মধ্যে পরে কালাশনিকভ রাইফেল, দুটি হ্যান্ডগান ও গ্যাসের বোতল পাওয়া যায়৷

হামলাকারীর উদ্দেশ্য সফল হলে এই সন্ত্রাসী হামলার মারাত্মক পরিণতি হতে পারতো – এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসে প্রাসাদ ও মার্কিন দূতাবাসের কাছেই এমন এক হামলার প্রচেষ্টা কর্তৃপক্ষের জন্য নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠলো৷ উল্লেখ্য, গত বছর দক্ষিণে নিস শহরে হামলায় ৮৬ জনের মৃত্যুর পর থেকে একের পর এক হামলায় জর্জরিত হচ্ছে ফ্রান্স৷ গত এপ্রিল মাসেই শঁজেলিসে সড়কে পুলিশের বাসের উপর সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছিল৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফ্রান্সে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে

পুলিশ জানিয়েছে, ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই ব্যক্তি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতো৷ তবে তার পরিচয় এখনো জানানো হয়নি৷ মঙ্গলবার পুলিশ তার পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করেছে৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সের হামলাকারী জাজিরি আডাম লোৎফি জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল৷ ২০১৫ সাল থেকে সে ‘ব়্যাডিকাল ইসলামি আন্দেলন' নামের এক গোষ্ঠীর সদস্য ছিল৷

সংসদ নির্বাচনের ঠিক পরে এমন এক হামলার প্রচেষ্টা নতুন প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার কলঁব বলেন, এর ফলে আবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ফ্রান্সে হুমকির মাত্রা অত্যন্ত বেশি৷ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ গত মাসেই বলেছিলেন যে, তাঁর প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে৷ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্যারিসে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নিরাপত্তা বাহিনীকে তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি ও আটক করার এই বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছিল৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)