1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রকাশ্য এবং গুপ্ত ট্যাটু নিয়ে ঝক্কিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

২০ সেপ্টেম্বর ২০১০

জোলি, মানে অ্যাকশান গার্ল অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ছবি যারা দেখেন, তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন তাঁর শরীরে আঁকা নানা ঢঙের ট্যাটুর কথা৷

https://p.dw.com/p/PGwn
ছবি: AP

অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী হলিউডের সুন্দরী নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শরীরে ট্যাটু করতে ভালোবাসেন৷ জোলিকে বলা যেতে পারে ট্যাটুর রানি৷ কারণ, ট্যাটুর প্রতি রীতিমতো আসক্তি তাঁর৷ নতুন নতুন ট্যাটুর জন্য তাই তিনি নিয়মিত খবর হচ্ছেন৷

কতগুলো ট্যাটু রয়েছে তাঁর শরীরে? জানেন? উত্তরে জানাই, প্রায় এক ডজন৷ শুধু চিত্রমালা নয়, রয়েছে বর্ণমালায় লেখা বিভিন্ন কথাও৷ কম্বোডিয়া থেকে দত্তক নেয়া ছেলে ম্যাডক্সের কল্যাণে জোলির বাম কাঁধে রয়েছে ক্যাম্বোডিয়ার ঐতিহ্যবাহী খমার ভাষার ট্যাটু৷ আরবি ভাষার ট্যাটু রয়েছে ডান হাতে৷ আছে জাপানি ভাষায় লেখা৷ ডান হাতের একটু উপরে রয়েছে রোমান হরফে লেখা ১৩ অক্ষরটি৷ আর রহস্যময় আরো একটি ট্যাটু রয়েছে তাঁর কব্জিতে৷ অনেকের ধারণা এটি তাঁর সাবেক প্রেমিক অথবা ভাই জেমস হ্যাভেনের উদ্দেশ্যে করা৷ উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি আসলেই সেই ট্যাটুর মানে কি!

Flash-Galerie Filmpremiere Salt mit Angelina Jolie
ছবি: AP

অন্যদিকে, ক্যাম্বোডিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়াকে স্মরণীয় করে রাখতে জোলি ১২ ইঞ্চি লম্বা এবং ৮ ইঞ্চি চওড়া একটি বিশাল ট্যাটু করিয়েছেন পিঠের ঠিক নিচের দিকে৷ সেটা দেখতে অনেকটা বাঘের মতো! এছাড়া, প্রকাশ্য এবং গুপ্তস্থানে রয়েছে ছোট-বড় আরো বেশ কয়েকটা ট্যাটু৷

যাহোক, ট্যাটুর প্রতি তাঁর এই আসক্তি অনেক সময় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিচালক এবং প্রযোজকদের জন্য৷ ট্যাটু তো আর একদিনের জন্য নয়, যে আজ আঁকালাম, আর কাল মুছে ফেললাম! তাই অভিনয়ের সময় পরিচালকরা খোলামেলা দৃশ্যে জোলিকে অভিনয় করাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছেন বিপদে! অনেক সময় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে উঠছে তা৷ চলচ্চিত্রের কাহিনীর কারণে ট্যাটুর প্রয়োজন যখন থাকে না, তখন পিঠে অতিরিক্ত মেকাপ করিয়ে, ক্যামেরাকে বিশেষ অ্যাঙ্গেলে ঘুরিয়ে তুলতে হচ্ছে ছবি৷ আর এ সব বেশ ঝক্কি বলে মনে করছেন পরিচালকরা৷

অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন জোলি৷ বলেছেন, যারা অন্যের শরীরের ত্বকে কি আঁকা রয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা করেন, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার৷ চিন্তার বিষয় হলে চিন্তা তো তাঁরা করবেনই!

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ