ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় ধর্ষণের সাথে ছোট পোশাক পরার সম্পর্ক নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত জানিয়েছেন আমাদের বেশ কিছু পাঠক৷ অনেক পাঠকই ছোট পোশাককে দায়ী করলেও কেউ কেউ আবার পুরুষদের ‘বিকৃত মস্তিস্কের' কথাও উল্লেখ করেছেন৷
‘‘যৌন সম্পর্ক, আর ধর্ষণ এক জিনিষ নয়৷ ধর্ষণ হলো কিছু বিকৃত মস্তিস্কের মানুষের কার্যকলাপ আর এর জন্য যারা পোশাককে একমাত্র বা প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তারাও যে বিকৃত মস্তিষ্কধারী ছাড়া আর কিছুই নয়, এর জন্য ব্যাখ্যার কোনো প্রয়োজন নেই৷'' -এই মন্তব্য করেছেন পাঠক শান্ত৷
আবু আহমেদও অনেকটা সেরকমই মনে করেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ধর্ষণের সাথে ছোট পোশাকের কোনো সম্পর্ক নেই৷ ধর্ষণ হচ্ছে বিকৃত, কাপুরুষ মস্তিস্কেরই প্রতিফলন৷ পাঠক রফিকুল ইসলামও তা-ই মনে করেন৷তিনি মনে করেন, শারীরিক বল খাটিয়ে কিছু আদায় করা যায় না৷ ছোট পোশাক পরাই ধর্ষণের একমাত্র কারণ নয়৷
পাঠক বিদ্যুৎ আহমেদ ধর্ষণের জন্য পুরুষদেরই দায়ী করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যদিও আজকাল অনেকেই ধর্ষণ রুখতে বোরকা পরার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ কিন্তু বোরকা কোনো সমাধান নয়৷ বাংলাদেশি উঠতি পুরুষেরা বলবে, নারীদের ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বোরখা (খাঁচা) পরতেই হবে! এসব চিন্তা যে পুরুষের মাথা থেকে আসে তার মাথায় এটাও আসার কথা যে, সে নিজেই নিজেকে ধর্ষক প্রমাণিত করছে৷''
অন্যদিকে মোঃ রঞ্জুও ধর্ষণ বন্ধ করার উপায় হিসেবে বোরকা বা হিজাবকে বেছে নিতে চাইছেন৷ ছানাউল্লাহ খানও এ ব্যাপারে রঞ্জুকে সমর্থন করেছেন৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আশিকুজ্জামান আশিক ধর্ষণের কারণ হিসেবে ছোট পোশাক পরাকেই দায়ী করেছেন৷ সোহেল বিপ্লব পাঠক আশিকুজ্জমানের সাথে একমত৷
তাছাড়া পাঠক সোহেল খান, ইশহাক, সিফাত, কুদরত আলী, মঞ্জুরুল আলম, কিবরিয়া বা রাহাদের মতো অনেকেই ছোট পোশাক পরাকেই ধর্ষণের প্রধান কারণ হিসেবে মনে করেন বলে জানিয়েছেন আমাদের ফেসবুক পাতায়৷
পাঠক সুপ্রিয় রঞ্জন জোর গলায় বলছেন,‘‘প্রকৃত মানুষ কোনোদিন ধর্ষক হতে পারেনা৷''
সংকলন: নুরুননাহর সাত্তর
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী