1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে কর ব্যবস্থা

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার ওপর একটি গবেষণা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)৷ তাতে বলা হয়, একটি মাত্র অর্থবছরেই বাংলাদেশে রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা৷

https://p.dw.com/p/2Qa1m
বাংলাদেশের টাকা
ছবি: DW

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিংবা এর একটা অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে৷ এই অর্থ ঐ বছরে রাজস্ব হিসেবে আদায় করা অর্থের তিনভাগের একভাগের সমান৷ এক্ষেত্রে টিআইবি-র গবেষণায় করদাতা, কর আদায়কারী এবং তাঁদের এজেন্টদের মধ্যে ত্রিমুখী আঁতাত দেখা গেছে৷ করদাতা ও রাজস্ব আদায়কারীদের মধ্যে যোগসাজশের মাধ্যমে রাষ্ট্র এই বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বলছে টিআইবি৷

প্রতিবেদন আরো বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অধিভুক্ত অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে৷ ২০ শতাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ৷

টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘যাঁরা কর ফাঁকি দেন, তাঁরা তাঁদের ফাঁকি দেওয়া অর্থ অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, হংকং, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য আর ভারতের মতো দেশগুলোতে ‘অফশোর' বিনিয়োগের নামে নিয়ে যান৷ দুর্নীতিতে অর্জিত অর্থ এভাবে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়৷''

ড. ইফতেখারুজ্জামান

এনবিআর-এর সমীক্ষা যা বলছে

টিআইবি-র রিপোর্টের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিজেই একটি সমীক্ষা করে৷ ২০১৬ সালে প্রকাশিত ঐ সমীক্ষায় বলা হয়, ‘বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা উৎসে কর ফাঁকি দেয়া হয়৷' বলা বাহুল্য, উৎসে কর করের পুরোটা নয়, একাংশ মাত্র৷ ঠিকাদারি ব্যবসা উৎসে করের একটি বড় খাত৷ উৎসে কর সরাসরি এনবিআর আদায় করে না৷ নিয়োগকারীরা কর আদায় করে এনবিআর-এ জমা দেয়৷ সমীক্ষায় বলা হয়, আয়কর আদায়ে সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে এই উৎসে কর৷ কিন্তু এটা আদায়ে বড় ধরনের গলদ রয়েছে৷ যে পরিমাণ কর আদায়ের কথা, তা হচ্ছে না৷

এনবিআর কর ফাঁকির বেশ কয়েকটি কৌশলের কথাও জানায়৷ এগুলো হলো: ঠিকমতো কর কর্তন না করা, বিদ্যমানের চেয়ে কম হারে কর কাটা, কর্তন করা হলেও সেই অর্থ জমা না দেওয়া কিংবা যে হারে কাটা হয়েছে, তার চেয়ে কম জমা দেওয়া, ভুয়া সনদ ইস্যু করা ইত্যাদি৷

কতটা কর ফাঁকি দেয়া হয়?

সমীক্ষায় বলা হয়, আদায়যোগ্য করের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশই নাকি আদায় হয় না৷ ঠিকাদারি ব্যবসা ছাড়াও উৎসে করের আরেকটি অন্যতম খাত হচ্ছে চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা৷ বর্তমানে এ খাত থেকে আদায় হয় মোট আয়করের মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ৷ সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়, চাকরিজীবীদের সংখ্যা ও বেতন কাঠামো অনুযায়ী আদায় হওয়ার কথা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ শতাংশ৷ ২০১৪-১৫ সালে বেতন-ভাতা বাবদ উৎসে কর থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৯০০ কোটি টাকা৷ অথচ নিবিড় তদারক ও ফাঁকফোকর বন্ধ করতে পারলে এখান থেকে অন্তত চার-পাঁচগুণ বেশি কর আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷

এনবিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ফ্রেইট ফরওয়ার্ড এজেন্সি, শিপিং এজেন্সি, বিদেশি প্রতিষ্ঠান, ইটভাটা, ট্রাভেল এজেন্ট, কনসালট্যান্সি সার্ভিস, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে, হাউস প্রপার্টি, জনশক্তি রপ্তানি, আবাসন ইত্যাদি খাতে ব্যাপক কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে৷

কর ব্যবস্থা ও কাঠামো

বাংলাদেশে কর আদায়ের প্রধান তিনটি খাত হলো: আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট বা মূসক) এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক৷ চলতি ২০১৬-১৭ বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা৷ যার মধ্যে মূসক থেকে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, আয়কর থেকে আসবে ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা  এবং বাকিটা আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও অন্যান্য খাত থেকে আসার কথা৷ উল্লেখ্য, মূসক আদায়ে গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷

বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা৷ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা৷ কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকার রাজস্ব৷

আয়কর: বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৭৫ শতাংশ এখন কর দেয়৷ গত এক যুগে দেশে করদাতার সংখ্যা বেড়েছে মোটে তিন লাখ৷ এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে করদাতার সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ৷

অর্থমন্ত্রী তাঁর গত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে করদাতার সংখ্যা ১২ লাখ এবং কর-জিডিপির অনুপাত ১০.৩ শতাংশ৷ প্রতিবেশি দেশগুলোতে এ হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ৷ আগে মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশের কম ছিল আয়করের অংশ৷ তাই এ হার ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে৷''

বাংলাদেশে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা৷ আড়াই লাখ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ছয় লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ, ৩০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করতে হয়৷ এক্ষেত্রে নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা, প্রতিবন্ধীদের তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চার লাখ ২৫ হাজার টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এই হিসেবে মাসে গড়ে যাঁদের আয় ২০ হাজার টাকার বেশি, তাঁদের আয়কর দেওয়ার কথা৷

তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ঈদের আগে বলেন, ‘‘যাঁদের মাসিক আয় ১৬ হাজারের উপরে, তাঁদের অবশ্যই আয়কর দিতে হবে৷ এ জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে৷ আগামী এক বছরের মধ্যে উপার্জনক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে৷ তবে তালিকা তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে৷ আগামী বছর বা তার কিছু পরে তা কার্যকর করা সম্ভব হবে৷''

বাংলাদেশে এখনো কর খাত হিসেকে মূসক শীর্ষে থাকলেও, আয়করকে শীর্ষে নিয়ে আসতে চান অর্থমন্ত্রী৷

ভ্যাট: মূসক বা ভ্যাট বাংলাদেশের কর আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত৷ ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে ভ্যাট-এর প্রবর্তন করা হয়৷ পরে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়৷ ভ্যাটের মধ্যে করের ওপর কর, ট্যারিফ মূল্য, সংকুচিত ভিত্তিমূল্য, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যভিত্তিক মূল্য, মূল্য ঘোষণা, অগ্রিম ব্যবসায়ী ভ্যাট, উৎসে মূসক কর্তন ইত্যাদি প্রবেশ করে৷

বাংলাদেশে ভ্যাটের আওতায় মূলত তিনটি কর আদায় করা হয় – মূসক, সম্পূরক শুল্ক এবং টার্নওভার কর৷ তাই নতুন আইনের শিরোনামের সঙ্গে ‘সম্পূরক শুল্ক' যোগ করে নামকরণ হয় ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২'৷ সেই আইনে মূসক বা ভ্যাটের ভিত্তি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত৷ এই আইনে আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী স্তর এবং সেবার সরবরাহ ও আমদানির ওপর মূসক আরোপ করা হয়েছে৷ তাছাড়া, অস্থাবর সম্পত্তি, লিজ, গ্রান্ট, লাইসেন্স, পারমিট, অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদিও ভ্যাটের আওতায় আনা হয়৷ তবে বার্ষিক ২৪ লাখ টাকা বা তার কম টার্নওভারসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান মূসকের আওতার বাইরে পড়ে৷ এছাড়া ভ্যাট আদায়ে নানা স্ল্যাব আছে৷ সাধারণভাবে ভ্যাট শতকরা ১৫ ভাগ৷

এবারের বাজেটে সরকার পণ্য ও সেবা বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ‘প্যাকেজ ভ্যাট' আরোপ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে এক বছর পিছিয়ে সামনের বাজেট থেকে তা কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে৷

জনগণের ওপর ট্যাক্সের বোঝা

ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন করের বোঝা শেষ পর্যন্ত দেশের সাধারণ মানুষকে বহন করতে হয়৷ এই করটি পরোক্ষ কর৷ পণ্য, সেবা, খাদ্যদ্রব্য বা শিক্ষায় যে ভ্যাট আরোপ করা হয়, তা শেষ পর্যন্ত প্রান্তিক গ্রাহককেই দিতে হয়৷ ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে নিত্যব্যবহার্য পণ্য – কিছুই ভ্যাটের বাইরে নেই৷

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের৷ অথচ তাঁরাই এ সব পণ্য ও সেবার প্রধান ভোক্তা৷ তাই পরোক্ষ করের নামে তাঁদের কাছ থেকেই কর নেয়া হয়ে থাকে৷ অন্যদিকে আয়কর যাঁদের দেয়ার কথা, তাঁদের একটা বড় অংশকে আয়করের আওতায় আনতে পারছে না কর প্রশাসন৷ রকার নিম্ন আয়ের লোকজনের ওপর কর বসাচ্ছে৷ টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ফেলেকে বলেন, ‘‘কর ফাঁকি দেয় বড় বড় ব্যবসা ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান৷ কিন্তু তার চাপ পরছে সাধারণ মানুষের ওপর৷ যাঁদের ট্যাক্সের আওতায় আনা দরকার, তাঁদের আনা যাচ্ছে না৷ এইসব বিপুল আয়ের মানুষ কর ফাঁকি দিয়ে দেশের বাইরে অর্থ পাচার করছেন৷ এ কারণে গত তিন বছর ধরে সুইস ব্যাংকের আমানতকারীদের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম৷''

তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা কর ফাঁকি দেন, তাঁদের সঙ্গে কর কর্মকর্তাদের একটি অংশের অসাধু যোগাযোগ আছে৷ আছে কর প্রশাসনের দক্ষতার অভাবও৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আয়করের আওতা বাড়ানোর আমি বিরোধিতা করি না৷ কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর কেন আয়করের বোঝা চাপানো হবে? সত্যিকার অর্থে আয়কর দেয়ার যোগ্য বিরাট একটা সংখ্যার মানুষদের এখনো আয়করের আওতায় আনা যায়নি৷ কর প্রশাসন সেটা করলেই আর নিম্ন আয়ের মানুষের কাছ থেকে কর নিতে হবে না৷''

পরোক্ষ কর নয়, চাই প্রত্যক্ষ কর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক এবং অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণ-এর প্রধান নির্বাহী ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে পরোক্ষ করই হলো কর আদায়ের শীর্ষ খাত৷ পরোক্ষ কর শীর্ষে থাকা মানে হলো, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কৌশলে টাকা আদায় করা৷ এটা একটি নেতিবাচক কর ব্যবস্থা৷ সরকার ভ্যাটের আওতা বাড়াচ্ছে৷ অর্থাৎ পরোক্ষ কর বাড়ছে৷''

ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা অন্যায্য কর ব্যবস্থা৷ ধনী-গরিব সবাইকে সমান কর দিতে হয় এ ব্যবস্থায়৷ যাঁর ১০০ টাকা আয় সে যে কর দে , যার ১০০০ টাকা আয় সেও একই পরিমাণ কর দেয়৷ এটা দূর করতে বাড়াতে হবে আয়কর, যাকে আমরা প্রত্যক্ষ কর বলি৷''

অর্থনীতির এই অধ্যাপক আরো বলেন, ‘‘মুশকিল হলো, এই আয়কর যাঁদের দেয়ার কথা তাঁরা দিচ্ছে না৷ যাঁদের দেয়ার সামর্থ্য নেই, উলটে তাঁদের ধরা হচ্ছে৷ এ এক অদ্ভুত ব্যবস্থা৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা, কর কাঠামো এবং কর প্রশাসন যে দুর্বল, তার প্রমাণ হলো দেশজ উৎপাদন(জিডিপ)-এর সঙ্গে করের আয়ের অনুপাত খুবই সামান্য৷ এই ধরুন, ১০ শতাংশের কিছু বেশি হবে৷ আসলে বাংলাদেশের কর প্রশাসনে একদিকে কোনো সৃজনশীলতা নেই, কিন্তু অন্যদিকে দুর্নীতি আছে৷ তাছাড়া কর দিয়ে মানুষ যে সেবা পেতে চান, তা পান না৷ ফলে কর ফাঁকি এবং কর দিতে অনাগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেশি৷''

প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বাইরে নানা কর রয়েছে৷ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান নানা নামে ট্যাক্স আদায় করে থাকে৷ তবে তা সামান্য৷ এনবিআর মূসক, আয়কর, আবগারি ও কাস্টমস – এই চারটি প্রধান বিভাগের মাধ্যমে কর আদায় করে৷''

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

দেবারতি গুহ

কর ফাঁকি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য