1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাথমিক স্বাস্থ্য

৯ আগস্ট ২০১২

ভারতের পরিকল্পনা কমিশন দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামোকে ঢেলে সাজাবার নামে তার বেসরকারীকরণের প্রস্তাব দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/15mIs
ছবি: Reuters

স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি এর তীব্র বিরোধীতা করে এই প্রস্তাব বাতিল করার দাবি জানায়৷

পরিকল্পনা কমিশনের এই প্রস্তাব সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার মৌলিক লক্ষ্যের পরিপন্থি হবে বলে জন স্বাস্থ্য অভিযানের মত স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ বলেছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার মূল লক্ষ্যকে বিকৃত করা হয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য পরিষেবা বেসরকারি হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

জনস্বাস্থ্য অভিযানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ গ্রুপ সুপারিশ করেছিল প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ করা উচিৎ জিডিপি, অর্থাৎ মোট অভ্যন্তরিণ উৎপাদনের ২.৫ শতাংশ৷ কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন সেটা ছাঁটাই করে বরাদ্দ করেছে এক থেকে দেড় শতাংশ৷

সব থেকে চিন্তার বিষয়, বর্তমানে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এবং বীমা সুবিধা ছেড়ে দেয়া হবে বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে৷ বর্তমানে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন, টীকা, নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যার মতো অত্যাবশ্যক হেলথ প্যাকেজের খরচ বহন করে থাকে সরকার৷ কিন্ত সরাসরি তা দেয় না৷

তাতে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে, সরকার ওষুধপত্র ও সব ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের ক্রেতার ভূমিকা নিয়ে বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলির পকেট ভারি করবে৷ এর ফলে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনে যেটুকু লাভ হয়েছিল বিফলে যাবে৷

জনস্বাস্থ্য অভিযানের মতো যেসব এনজিও'র পেশাদার স্বাস্থ্য কর্মীরা স্বল্প ব্যয়ে এক স্বাস্থ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন৷ তাঁরা গ্রামীণ প্রত্যন্ত এলাকায় বিনামূল্যে ম্যালেরিয়া, ডাইরিয়া, যক্ষা, অপুষ্টি, খোস পাঁচড়া ও অন্য সংক্রামক রোগের চিকিৎসা করেন এবং নিখরচায় ওষুধপত্র দেন৷

উল্লেখ্য, ভারতে স্বাস্থ্য পরিচর্যার অভাবে প্রতি দশ মিনিটে একটি শিশু মারা যায় নিবারণযোগ্য ব্যধিতে৷ প্রতি তিরিশ মিনিটে মারা যায় একজন প্রসূতি মা৷ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও পেটের অসুখে প্রতি বছর ভারতে মারা যায় কয়েক হাজার৷

প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার বেসরকারীকরণ হলে চিকিৎসা ব্যয় এত বেড়ে যাবে, যা প্রান্তিক মানুষের সাধ্যের বাইরে হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য