1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেফারির জন্য প্রযুক্তি

পেটার ওজনি/এসবি১৫ মার্চ ২০১৪

ফুটবল খেলার উত্তেজনাই আলাদা৷ মাঠে কখন যে কী ঘটবে, তা আন্দাজ করা কঠিন৷ কিন্তু সেই আনন্দে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটায় রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত৷ জার্মানির একটি প্রযুক্তি এবার এই সমস্যার সমাধান করতে কাজে লাগানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1BPfU
Linienrichter-Technologie der deutschen Firma GoalControl
ছবি: GoalControl

সেটা ছিল জার্মান ফুটবল লিগ ‘বুন্ডেসলিগা'-র ইতিহাসে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা৷ লেভারকুজেন দলের স্টেফান কিসলিং হফেনহাইম-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে হেড করলেন, সেটা গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে গেল৷ কিন্তু নেটে ফুটো ছিল, তা দিয়ে বল ঢুকে গেল৷ রেফারি সেটা না দেখতে পাওয়ায় হফেনহাইম শেষ পর্যন্ত হেরে যায়৷

ডিয়ার্ক ব্রখহাউসেন ও তাঁর কোম্পানি ‘গোল-কন্ট্রোল' এমন সমস্যার সমাধানে ‘গোল-কন্ট্রোল ফোর-ডি' নামের প্রযুক্তির সাহায্যে গোলপোস্টের উপর কড়া নজর রাখার ব্যবস্থা করেছে৷ কোম্পানির প্রধান ডিয়ার্ক ব্রখহাউসেন বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থায় ৫ মিলিমিটার বা তার থেকেও কম অংশের উপর নজর রাখা সম্ভব৷ গোলপোস্টের সীমানা পাহারা দেবার এর থেকে নিখুঁত ব্যবস্থা আর বোধহয় নেই৷''

বিশেষ প্রযুক্তির সাতটি ক্যামেরা প্রতি সেকেন্ডে বলের ৫০০ ছবি তোলে৷ বল গোলে প্রবেশ করলে রেফারির ঘড়িতে একটা সিগনাল পাঠানো হয়৷

আগামী গ্রীষ্মেই ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এই গোল-লাইন প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বিশ্বকাপে একটি ম্যাচে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের জের ধরে ফিফা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচে ইংল্যান্ডের ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের শটে বলটি গোল লাইনের ভিতরেই পড়েছিল৷ কিন্তু রেফারি গোল স্বীকার করেন নি৷

জার্মানির এই কোম্পানি ব্রাজিলের ১২টি স্টেডিয়ামেই তাদের যন্ত্রপাতি বসাচ্ছে৷ অন্যান্য প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে ‘গোল-কন্ট্রোল'-কেই বেছে নেওয়া হয়েছে৷ ব্রখহাউসেন বলেন, ‘‘আমাদের সুবিধা হলো, যে কোনো বলই কাজে লাগানো যায়৷ অর্থাৎ গ্রিনকিপার যে কোনো ব্যবস্থাতেই কাজ করতে পারবে৷ ঘাসের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, ক্যামেরা লাগানো যায়, চালানো যায়৷ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা নেই৷''

আখেন শহরের স্টেডিয়ামে ‘গোলকন্ট্রোল' কোম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে৷ মোট ১৪টি হাই-স্পিড ক্যামেরা ও একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের ব্যয় প্রায় ২ লাখ ইউরো৷

অফিসে ব্রখহাউসেন আপাতত একা, কারণ তাঁর প্রায় ২০ জন সহকর্মী ব্রাজিলে অত্যন্ত ব্যস্ত৷ বিশ্বকাপ আপাতত প্রধান লক্ষ্য৷ জার্মান ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগাতেও শীঘ্র এই প্রযুক্তি চালু হবে এবং ‘গোলকন্ট্রোল' তার বরাত পাবে বলে ব্রখহাউসেনের আশা৷ ব্রখহাউসেন বলেন, ‘‘এটা তো ঘরের লিগ৷ জার্মান কোম্পানি হিসেবে আমরা খুব খুশি হবো যখন আমরা বুন্ডেসলিগার জন্যও কাজ করতে পারবো৷ প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনে সক্রিয় থাকতে পারলে সেটা হবে বিশাল এক সাফল্য৷''

হফেনহাইম ক্লাবও সম্ভবত খুশি হবে৷ কারণ তাদের একটি ম্যাচে রেফারি আবার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার ফলে টিমের পয়েন্ট কমে গেছে৷ ফলান্ড গোল দেওয়া সত্ত্বেও রেফারি তাকে স্বীকৃতি দেননি৷ একেই বলে দুর্ভাগ্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য