‘বাংলাদেশে ছেলে মেয়ে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে' | পাঠক ভাবনা | DW | 19.10.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বাংলাদেশে ছেলে মেয়ে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে'

‘শরিয়া আইনে, বিয়ের আগে ছেলে-মেয়েদের একে অপরকে ছোঁয়া, চুমু দেয়া, জড়িয়ে ধরা অপরাধ-' ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু থাকা নিয়ে ডয়চে ভেলেতে প্রকাশিত  ছবির প্রতিবেদনটি পড়ে ফেসবুক পাতায় এমন মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ৷

শরিয়া আইন সম্পর্কে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু জুয়েল ইব্রাহিম তার বক্তব্য জানিয়েছেনএভাবে, ‘‘শরিয়া বা ইসলামী অনুশাসন মানুষকে ধ্বংসের পথে যেতে দেয় না৷ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সেরা জীব হিসেবে নির্বাচন করেছেন বলে আমাদেরকে দিয়েছেন উন্নত মস্তিষ্ক, মেধা ও মনন, যাতে আমরা প্রাণীদের চেয়ে সভ্য জীবন গড়ে তুলি কিম্বা পালন করি৷ লিভ টুগেদার আর অবৈবাহিক যৌনাচার কেবল প্রাণীদের বেলায় খাটে, বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের বেলায় তা সমীচীন নয়৷''

পাঠক জুয়েল ইব্রাহিমের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে এসআই মাসুম খান তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘‘আমি পাঁচ মাস ছিলাম ইন্দোনেশিয়ায়৷ পৃথিবীর সবচাইতে যাযাবর দেশ ইন্দোনেশিয়া, যেখানে নারীদের কোনো সম্মান করা হয়না৷ বিবাহের আগে তারা ২থেকে ৩ মাস এক সাথে থাকে৷ ভালো লাগলে বিয়ে, না হয় আরেক জন৷''

তবে মুহাম্মদ আরিফ হুদা রুবেল কিন্তু বাংলাদেশে শরিয়া আইন চালু হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য শরিয়া আইন খুবই জরুরি৷'' তাঁর মতে, ‘‘বাংলাদেশের  ছেলে-মেয়ে সবগুলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷'' পাঠক জুমান খানও আরিফ হুদাকে সমর্থন করেছেন৷

তবে পাঠক তনয় ভুইয়া বলছেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়াতে শতভাগ মুসলিম আর ঐখানে এই ধরণের আইন চালু করা সম্ভব, কিন্তু আমাদের দেশে শতভাগ মুসলিম না, তাই এই ধরণের আইন চালু করা অসম্ভব৷''

অন্যদিকে পাঠক আবদুল্লাহ বলছেন পুরো ভিন্ন কথা৷ তাঁর মতে ,‘‘যে দেশের ছেলেরা বুড়া হলেও বেকার থাকে, সে দেশের ছেলে-মেয়েরা কী করবে, টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারেনা৷ তাই দেশে শরিয়া আইন করতে গেলে সব আইন ঠিক করতে হবে৷''

আর সালেক মোহাম্মদ বলছেন,‘‘ ইন্দোনেশিয়াতে কোন আইন বা কী হচ্ছে তা আমাদের বিচার্য বিষয় না৷''

তবে ফকরুল রুবেল ও তাওহিদ কিন্তু বাংলাদেশে শরিয়া আইন চান৷ তারা মনে করেন,  ‘‘শরিয়া আইন বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি৷''

আর বাংলা‌দে‌শে শরিয়া আইন চালু সম‌য়ের দাবি বলে মনে করেন ফরিদ আকন্দ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন