1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ‘বিশেষ ভিক্ষা এলাকা’

২৯ অক্টোবর ২০০৯

বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের সামাল দেয়ার জন্য সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসাবে একটি ‘বিশেষ ভিক্ষা এলাকা’ তৈরির কথা বিবেচনা করছে দেশটির সরকার৷ বাংলাদেশের সরকারি বিকলাঙ্গ কল্যাণ সংস্থার প্রধান গাজী মোহাম্মদ নুরূল কবির এই তথ্য জানান৷

https://p.dw.com/p/KIcK
ফাইল ফটোছবি: AP

বাংলাদেশে ২০০৫ সালে পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটির রাজধানী ঢাকাতে মোট ভিক্ষুকের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার৷ হিসাবটি বেশ কয়েক বছরের পুরনো এবং বছরের সময় ও অবস্থানভেদে ঢাকা শহরের ভিক্ষুকের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়৷ যেমন বন্যা, খরা, সাইক্লোন বা যে কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর কাজের আশায় বা শুধু ভিক্ষা করতেই ঢাকা শহরে আসে বহু সহায়-সম্বলহীন মানুষ৷ কাজ না পেয়ে তারা রাস্তায় ভিক্ষা করতে নেমে যায়৷ আবার ঈদ বা উৎসবকালীন সময়ে অনেক নিন্ম আয়ের মানুষ ফিতরা, জাকাত বা কিছুটা বেশি পয়সা লাভের আশায় রাজধানীর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়৷ আর শহরের প্রধান রাস্তায় এইসব বাড়তি মানুষের চাপে জানজট থেকে হঠাৎ দূর্ঘটনাও ঘটে থাকে৷ এর আগে সরকার এই সব ভিক্ষুকের পুনর্বাসনের চেষ্টা সীমিত পর্যায়ে করার চেষ্টা করলেও কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি৷

দেশটির বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, দেশ থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভিক্ষুক দূর করা হবে৷ এখন গাজী মোহাম্মদ বলছেন, কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনার একটি রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে৷ পরিকল্পনাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেনো, তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না করে৷

পরিকল্পনার আওতায় থাকছে, কাজের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, বিনামূলে রিক্সা বিতরণ অথবা ছোট ছোট দোকান করে দেওয়া৷ কবির বলেন, যদি দেখা যায় যে, এতো সব কিছু করেও তাদের ভিক্ষা থেকে দূরে রাখা যাচ্ছে না, তবে শহরে একটি বিশেষ ভিক্ষা এলাকা তৈরির পরিকল্পনা আছে৷ যেখানে কোন ধরণের উৎপাত ছাড়াই তারা ভিক্ষা করতে পারবে৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার