1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান পরিবহনের ভবিষ্যৎ

৯ অক্টোবর ২০০৯

পরিবহনের অন্যান্য শাখার মত বিমান চলাচল ক্ষেত্রেও জ্বালানীর সাশ্রয় ও বিকল্প জ্বালানীর সন্ধান চলছে৷ এশিয়া প্যাসিফিক সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এয়ারবাস সংস্থার এক প্রতিনিধি তার রূপরেখা তুলে ধরলেন৷

https://p.dw.com/p/K3FC
এ ৩৮০ বিমানে জ্বালানীর যথেষ্ট সাশ্রয় সম্ভবছবি: AP

বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সঙ্কট

একটি বড় বিমান ওড়ার সময় যে পরিমাণ জ্বালানী খরচ এবং বায়ু ও শব্দ দূষণ হয়, ভবিষ্যতেও তেমনটা চলতে থাকলে জ্বালানী সাশ্রয় বা পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ এই সঙ্কটের একটা ব্যবসায়িক মাত্রাও রয়েছে৷ গত বছর পেট্রোলিয়ামের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিমান ভাড়া আচমকা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে বেসামরিক বিমান ক্ষেত্র মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছিল৷ পরিবহনের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের মত বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও যে পেট্রোলিয়ামের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ফলে বিমানের জ্বালানী সাশ্রয় ও বিকল্প জ্বালানী নিয়েও নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গেছে৷ বিস্ময়কর মনে হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এয়ারবাস ‘এ ৩৮০’ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশী জ্বালানী সাশ্রয় করতে সক্ষম৷ একের পর এক বিমান সংস্থা ধাপে ধাপে এই বিমান কাজে লাগাতে শুরু করেছে৷ তবে বর্তমান প্রজন্মের বিমানগুলির ক্ষেত্রে কোন বড় রকমের পরিবর্তন আশা করা না গেলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিমানে অভাবনীয় উন্নতির পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

বিমানের রূপান্তর প্রক্রিয়া

গাড়ি বা বাস যেমন কোন পেট্রলিয়াম ছাড়াই বিকল্প জ্বালানীর সাহায্যে চালানো যেতে পারে, বিমানের ক্ষেত্রে এখনই এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ এয়ারবাস সংস্থার জ্বালানী বিশেষজ্ঞ হান্স-ইয়ুর্গেন হাইনরিশ শুক্রবার আমাদের শোনালেন অভিনব সেই উদ্যোগের কথা৷ বহুমুখী এই প্রকল্পের রূপরেখা হল এরকম৷ উদ্দেশ্য, এক ঢিলে বহু পাখি মারা৷ প্রথমত, বিমানের মধ্যে বিদ্যুতের যোগান দিতে যথেষ্ট সংখ্যক ‘ফুয়েল সেল’ থাকবে৷ এই প্রযুক্তির বর্জ্য পদার্থ হিসেবে হিসেবে যে জল, গ্যাস ও জলীয় বাস্পের সৃষ্টি হয়, তাও বিমানের অন্যান্য কাজে লাগানো যেতে পারে৷

সামগ্রিক এই কাঠামো কার্যকর করা সম্ভব বলে জ্বালানী সাশ্রয়ের পাশাপাশি কার্বন নির্গমনের মাত্রা ও উড়ান-প্রতি ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার আশা করা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে বিমানের ওজন, ইঞ্জিনের আওয়াজ, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় ও কর্মীর সংখ্যাও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে৷ তাছাড়া শুধু আকাশে নয় – বিমানবন্দরেও ‘ফুয়েল সেল’ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব৷ ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে প্রায় ২০টি বিমানবন্দরে হাইড্রোজেন-ভিত্তিক ‘ফুয়েল সেল’ প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে৷ সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে ২০১২ সাল থেকেই আগামী প্রজন্মের বিমান তৈরীর কাজ শুরু হতে পারে৷ ২০২০ সাল থেকে সম্ভবত বাণিজ্যিক আকারে বিমান তৈরী হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ