বিশ্ব ভ্রমণ: জার্মানির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প
বার্লিন দেয়াল শিল্প ইতিহাসকে বিভক্ত করেছে৷ তাই সমান্তরালভাবে ৬০ বছরের জার্মান শিল্পের ইতিহাস ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ নামে এই প্রদর্শনীতে ফুটে উঠেছে৷ এর আয়োজক ইনস্টিটিউট ফর ফরেন কালচারাল রিলেশন্স৷
পুনরেকত্রীকরণের শিল্প
এই দেয়াল শিল্প ইতিহাসকে বিভক্ত করেছে৷ তাই সমান্তরালভাবে ৬০ বছরের জার্মান শিল্পের ইতিহাস এখানে উঠেছে ফুটে৷ ইনস্টিটিউট ফর ফরেন কালচারাল রিলেশন্স ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ নামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে৷ এখানে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির আলোকচিত্রী সিবিলে ব্যার্গেমান সোভিয়েত ব্লক ভাঙার ক্রমিক চিত্র তুলে ধরেছেন৷
গ্রাউন্ড জিরো
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি৷ নাৎসিবাহিনীর অত্যাচারের চিত্রের পর আর কিছু কি দেয়ার থাকতে পারে? এ যেন ‘গ্রাউন্ড জিরো’ থেকে কনটেম্পোরারি আর্ট বা সমকালীন শিল্পের ইতিহাস শুরু৷
অসঙ্গতিপূর্ণ শিল্পের গোপন রহস্য
গ্যারহার্ড আল্টেনবুর্গ জার্মানির পূর্বাঞ্চলের ভিন্নধর্মী শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম৷ তাঁর কাজে কখনোই সামাজিক বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি৷ অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আল্টেনবুর্গ সৃষ্টি করেছিলেন গোপন কিছু করার৷ পুনরেকত্রীভূত জার্মানিতে এখন তাঁর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত৷ এমনকি বুন্ডেসটাগ বা জার্মান সংসদেও তাঁর চিত্রকর্ম ঝোলানো আছে৷
পশ্চিমে বিমূর্ত ছবির প্রতি সমর্থন
পশ্চিম জার্মান চিত্রশিল্পী ব্যার্নার্ড শুলৎসের ছবিতে কাব্য যেমন আছে, তেমনি আছে একটা বিমূর্ত ধারণা৷ আইএফএ জানিয়েছে, আল্টেনবুর্গের মধ্যেও একই ধরণের শৈল্পিক চিন্তাভাবনা কাজ করেছে৷ ১৯৫৯ সালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কনটেম্পোরারি প্রদর্শনীতে তাঁদের দু’জনের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়৷
পূর্ব জার্মানির ফটোগ্রাফিতে স্বাধীনতা
গত ৬০ বছরের ফটোগ্রাফিতে পুরো জার্মানির যে বিষয়টি আবিষ্কার হয়েছে, তা হোল স্বাধীন আর্ট ফর্ম৷ তৎকালীন পূর্ব বার্লিনের ফটোগ্রাফার আর্নো ফিশার ১৯৫৭ সালে এই রাস্তার ছবিটি তুলেছিলেন৷ ফিশারের ছবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং মানুষের অস্তিত্ব বোঝানোর আগ্রহই তাঁর শিল্পকর্মে বেশি লক্ষ্যণীয়৷
উত্তেজনামুলক নয়, পার্থিব
ফটোগ্রাফার সারগেসহাইমার অনেকটা আর্নো ফিশারের মতো, যা দেখেন তারই ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ সারগেসহাইমারের আসল নাম কার্ল-হাইনৎস হার্গেসহাইমার৷ তিনি যতটা না উত্তেজনামূলক বিষয়বস্তুর ছবি তুলতে ভালোবাসতেন, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন পার্থিব কোনো কিছুর ছবি তুলতে৷
পূর্বের জ্যামিতিক শিল্প
বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর আইএফএ জিডিআর শিল্পীদের শিল্পকর্মকে সমর্থন দেয়৷ হ্যার্মান গ্ল্যোকনারও তাঁদের মধ্যে একজন৷ এখানে দেখা যাচ্ছে দেয়ালের যে পাশে যে শিল্পীদের বসবাস, তাঁদের কাজের মধ্যে সম্পর্ক৷
পশ্চিমের জ্যামিতিক শিল্প
দ্বিমাত্রিক রং, ছন্দময় ভঙ্গি: সাবেক পশ্চিম জার্মানির অংশ মিউনিখ শহরের গ্রাফিক শিল্পী গ্যুন্টার ফ্রুট্রুংকের কাজের ধরণটা একেবারেই অন্যরকম৷ তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কাজগুলোর একটি হলো জার্মানির বিখ্যাত স্বল্প মূল্যের বিপণি আল্ডি-র প্লাস্টিক ব্যাগ৷
গতানুগতিক শিল্পের বিরুদ্ধে
ইওসেফ বয়েসের এই চিত্রকর্মটির নাম ‘আই ডু নট নো আ উইকএন্ড’৷ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে তিনি দর্শকদের তাঁর ঘণ্টাব্যাপী ‘পারফর্মেন্স’ দিয়ে প্ররোচিত করেছিলেন৷ তাঁর মতো করে পূর্ব-পশ্চিমের বিভেদ নিয়ে এমন কাজ করার মতো সাহস কোনো পূর্ব জার্মান শিল্পী দেখাননি৷
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী
অনেক বছর আগে যখন নারীর সম অধিকারের বিষয়টি এত ব্যাপক ছিল না, তখন নারী শিল্পীদের সুযোগ দিয়েছিল আইএফএ৷ ৭০-এর দশকে নারী বিপ্লবীদের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছিলেন নারী শিল্পীরাও৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম কাথারিনা ফ্রিচ৷
ড্রেসডেনে ড্যুসেলডর্ফ স্কুল অফ ফটোগ্রাফি
পূর্ব বা পশ্চিম? স্টেশন সিরিজের কয়েকটি ছবির একটি এই ছবিটি৷ ছবিটি ড্যুসেলডর্ফ স্কুল অফ ফটোগ্রাফির কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি বার্ন এবং হিয়া বেশারের তৈরি৷ তাঁরা দু’জন শিল্পকারখানার চুল্লির উপর ফটোগ্রাফির জন্য সুপরিচিত৷
ফটো সাংবাদিকতার চেয়েও বেশি কিছু
প্রথম দেখায় এটি শুধু ২০০১ সালে ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-এইট সম্মেলনের বিক্ষোভের ছবি ছাড়া কিছুই নয়৷ কিন্তু ভালোভাবে দেখলে এটায় একটা নতুন ধরণ চোখে পড়বে, জানান আইএফএ-র কিউরেটর ভিনজেন৷ ফটো সাংবাদিক জুলিয়ান ব়্যোডার এই কিউরেটরের নতুন আবিষ্কার৷