1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

ভারতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

২ জানুয়ারি ২০১৮

মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের ডাকে দেশ জুড়ে ১২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকেরা৷ অভিযোগ, সরকার নতুন যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রস্তাব করেছে, তা চিকিৎসক এবং চিকিৎসাশাস্ত্র বিরোধী৷

https://p.dw.com/p/2qCzD
INDIA-HEALTH-CHILDREN
ছবি: AFP/Getty Images

১২ ঘণ্টার কর্মবিরতি৷ অথৈ জলে রোগীরা৷ বহুদিনের মধ্যে ভারতের হাসপাতালগুলিতে এত বড় কর্মবিরতি দেখা যায়নি৷

নতুন বিল আইনে পরিণত হলে মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে যাবে এবং একটি নতুন কাউন্সিল তৈরি হবে৷ মঙ্গলবার সংসদেও বিলটি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা৷ সূত্রের খবর, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বেসরকারি হাসপাতালগুলির ওপিডি বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগের পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটবে না৷

শোনা যাচ্ছে, নতুন বিলের খসড়া প্রস্তাবে বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে৷ অল্টারনেটিভ মেডিসিনের ছাত্ররাও একটি ‘ব্রিজ কোর্সে'-র মাধ্যমে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারবেন বলে বিলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ যার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে৷ অভিযোগ, বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে দেশে ভুয়ো চিকিৎসকের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে৷ অন্যদিকে, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে৷ সফদরজং, রাম মনোহর লোহিয়া, এইমসের মতো কেন্দ্রীয় হাসপাতালগুলিতে সেই সার্কুলার ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে৷

মেডিক্যাল কাউন্সিলের বক্তব্য, এই বিল পাশ হলে প্রতিটি ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে৷ চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সরাসরি যাদের সম্পর্ক নেই৷ যে কারণে মঙ্গলবার ‘কালাদিবস' পালনের ডাক দিয়েছে তারা৷ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নতুন প্রেসিডেন্ট রবি ওয়াংখেদকার বলেছেন, নতুন বিলটি অগণতান্ত্রিক, গরিববিরোধী, চিকিৎসা পরিষেবাবিরোধী৷

দিল্লির মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও মেডিক্যাল কাউন্সিলের কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়েছে৷ অন্যদিকে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিলটি নিয়ে বৈঠক করেছেন এবং তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে৷ যেখানে বিলটির নতুন খসড়া তৈরির আবেদন জানানো হয়েছে৷

মাসখানেক আগে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ভুগেছেন পশ্চিমবঙ্গের রোগীরা৷ তার কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিলসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছিলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ সেখানে বেশ কড়া ভাষায় তিনি হাসপাতাল প্রতিনিধিদের সচেতন করে দেন৷ ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ গ্রেফতার করা হয় অসংখ্য ভুয়ো চিকিৎসককে৷ অন্যদিকে চিকিৎসকদের অভিযোগ ছিল, হাসপাতাল ভাঙচুরের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি৷ একতরফা চিকিৎসক এবং বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই ব্যস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এরই প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়৷ কর্মবিরতি চলাকালীন হাসপাতালগুলিতে কার্যত কোনো পরিষেবাই পাননি রোগীরা৷

এসজি/ডিজি (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য