1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেরুসালেম-বিতর্ক

২৩ জানুয়ারি ২০১৮

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২০১৯ সালেই জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা করেছেন৷ অন্যদিকে পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী করার স্বপ্নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইইউ৷

https://p.dw.com/p/2rLK9
 ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি
ছবি: picture-alliance/W.Dabkowski

একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে এতকাল একযোগে কাজ করার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিভাজন অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ গত ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতি স্পষ্ট পক্ষপাত দেখিয়েছেন৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ইসরায়েল সফরে এসে সেই সিদ্ধান্তের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স ইসরায়েলের সংসদ ক্নেসেটে তাঁর ভাষণে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের শেষের মধ্যেই মার্কিন দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তর করা হবে৷ সে সময়ে কয়েকজন ইসরায়েলি আরব সংসদ সদস্য ‘জেরুসালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী' লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেছিলেন৷

এদিকে ব্রাসেলসে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনির সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ মোগেরিনি আব্বাসকে বলেন, পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী করার স্বপ্নে ইইউ-র সমর্থন রয়েছে৷

আব্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবার ডাক দিয়েছেন৷ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিরা ইইউ-কে সত্যিকারের সহযোগী ও বন্ধু হিসেবে গণ্য করে৷ তাঁর মতে, এর ফলে শান্তি আলোচনার উপর কোনো প্রভাব পড়বে না৷ বরং ফিলিস্তিনিদের মনে শান্তির আশা অটুট থাকবে৷ তিনি ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন৷

ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার আগে আন্তর্জাতিক স্তরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্র সম্পর্কে ঐকমত্য অটুট ছিল৷ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার আগে তাই কেউ জেরুসালেম শহরের ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি৷ ট্রাম্পের একতরফা ঘোষণার ফলে ইউরোপ, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য