1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন মুগাবে

দেবারতি গুহ৫ ডিসেম্বর ২০০৮

জিম্বাবোয়েতে ঐকমত্যের সরকার বিফল হলে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে৷ তবে অনেক আগেই রবার্ট মুগাবের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইস৷

https://p.dw.com/p/GAGW
রবার্ট মুগাবেছবি: AP

জিম্বাবোয়ের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসানে একটি ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি৷ কিন্তু তারপরও, সেই ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তির যথার্থ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি৷

দৃশ্যতঃ, রবার্ট মুগাবের জানু-পিএফ দল বিরোধী মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেন্জ বা এমডিসি-কে মন্ত্রীসভার ১৩-টি পদ দিতে রাজি হওয়ার পরও, সংকট কাটে নি৷ কারণ, এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পদটিও দাবি করেছে এমডিসি-এর নেতা মর্গান চাঙ্গিরাই৷ চাঙ্গিরাই জানান যে, মুগাবের জানু-পিএফ পার্টি, এমডিসি-কে টপকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে৷ সে জন্য জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের অভিযোগও তুলেছে এমডিসি৷

তাই ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তিটি বাস্তবে কতোটা কার্যকর হবে এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেছে৷ আর ঐকমত্যের সরকার বিফল হলে বছর খানেকের মধ্যে আবার নতুন করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দেবেন বলে জানিয়েছেন জিম্বাবোয়ের ৮৪ বছর বয়স্ক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে৷

উল্লেখ্য, ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্টের পদটি মুগাবের জানু-পিএফ দলের হাতেই থাকার কথা৷ অর্থাৎ, জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যাওয়ার কথা রবার্ট মুগাবের৷ এদিকে, বিরোধী নেতা মর্গান চাঙ্গিরাই জানিয়েছেন যে, মুগাবে সরকার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়- দুটি মন্ত্রণালয়ই পেতে পারে না৷ সুতরাং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এমডিসি-কে দেওয়া না হলে, তারা এই ঐকমত্যের সরকারে যোগ দেবে না বলে জানান চাঙ্গিরাই৷

অন্যদিকে, অনেক আগেই রবার্ট মুগাবের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইস৷ তিনি বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি প্রণয়নের পুরো ব্যাপারটি ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আন্ডের্স ফগ রাসমুসেন বলেন, আফ্রিকান ইউনিয়নের উচিৎ জিম্বাবোয়ের নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত করে অচলাবস্থা দূর করা৷ প্রসঙ্গত, রাইস এ মুহূর্তে ডেনমার্ক সফর করছেন৷

অপরদিকে, জিম্বাবোয়েতে কলেরা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায়, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলি৷ পশ্চিমা দেশগুলির কথায় আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পতিত মুগাবে সরকার এই মহামারী মোকাবেলায় মোটেও প্রস্তুত নয়৷ জিম্বাবোয়েতে কলেরার কবলে পড়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রকাশ৷