1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন যুদ্ধফেরত সেনাদের হতাশা, বাড়ছে আত্মহত্যা

১২ নভেম্বর ২০১০

ইরাক ও আফগান যুদ্ধে মার্কিন সেনারা প্রাণ হারাচ্ছে শত্রুদের হাতে৷ আর যুদ্ধ ফেরত সেনারা নিজেরাই নিজেদের প্রাণ নিচ্ছে৷ ভেটেরান দিবস উপলক্ষে যুদ্ধ ফেরত সেনাদের এই আত্মহত্যার প্রবণতা আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/Q6eE
যুদ্ধ ফেরত সেনাদের মধ্যে বাড়ছে হতাশাছবি: AP

বিগত ২০০৮ সালে আত্মহত্যা করেছেন ২৬৭ জন, পরের বছর অর্থাৎ গত বছর ৩০৯ জন৷ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরত আসা মার্কিন সেনাদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান এই৷ ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল এই পাঁচ বছরে মোট ১১শ মার্কিন সেনা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন৷ বলা বাহুল্য, আফগান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহত মার্কিন সেনার সংখ্যা এর চেয়ে কম৷

যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সেনা সদস্য যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফেরত আসেন তাদের বলা হয় ভেটেরান৷ এসব সেনাদের স্মরণে প্রতি বছরের ১১ নভেম্বর ‘ভেটেরান ডে' পালন করা হয়৷ গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভেটেরানের সংখ্যা দুই কোটি ৩০ লাখ৷ এসব সেনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ তো বটেই, ভিয়েতনাম, কোরিয়া এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন৷

US-Präsident George W. Bush bei den Truppen in Irak
ইরাকে সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন সেনারাছবি: AP

যুদ্ধ ফেরত এসব সেনা কেমন আছেন? এসব সেনার দেখাশোনার জন্য একটি বিভাগ রয়েছে মার্কিন সরকারের৷ মাত্র ৮০ লাখ যুদ্ধ ফেরত সেনার এই বিভাগের তালিকায় রয়েছেন৷ বাকিদের অবস্থা কেমন সেটা সেসব সেনারাই বলতে পারবেন৷ যুদ্ধক্ষেত্রে অবদান রাখা অনেক মার্কিন সেনার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়৷ অনেক সেনাই রয়েছেন যাদের থাকার জায়গাটি পর্যন্ত নেই৷ কিন্তু তাদের খোঁজ আর কে রাখে?

নানা কারণেই এসব সেনার মধ্যে হতাশা কাজ করে যা তাদের আত্মহননের দিকে ঠেলে দেয়৷ বিষয়টি স্বীকারও করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী এরিক শিনসেকি৷ তিনি বলেছেন, এখনকার যুদ্ধগুলোতে প্রচন্ড চাপ সইতে হয়, এবং অনেক জায়গায় আমাদের বাহিনীর আকারও ছোট৷ তাই তাদের আরও বেশি চাপ নিতে হয়৷ কেবল মানসিক চাপ নয়, আর্থিক দৈন্যতার কারণেও যে যুদ্ধ ফেরত সেনাদের মধ্যে মানসিক বৈকল্য বাড়ছে সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন মন্ত্রী এরিক শিনসেকি৷ উল্লেখ্য, এই বছর অতিরিক্ত সাত লাখ মানসিক বৈকল্যের ঘটনা তালিকাভুক্ত করেছে সেনাবাহিনী৷ সেনাদের মানসিক বৈকল্যের চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে মার্কিন সরকারকে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা