মিথ্যে কথা বলা কিন্তু জরুরি নয়!
আচ্ছা, মানুষ কেন মিথ্যে কথা বলে? মানুষ যা ভাবে সেটা প্রকাশ করলে কি কোনো অসুবিধা হয়? না, হয় না৷ বরং সত্য বললে মানসিক গ্লানি কমে, মনটাও থাকে ভালো৷ এমনটাই বলছেন একজন মনোবিজ্ঞানী৷ বিস্তারিত থাকছে ছবিঘরে৷
মিথ্যা বলার কারণ খুঁজুন
মিথ্যা কথা বলার ঘটনাগুলো নিয়ে যদি একটি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেন, তাহলেই হয়ত মিথ্যা বলার মূল কারণ খুঁজে পাবেন৷ নিজেই একটু বিষয়টা নিয়ে ভাবলে দেখবেন মিথ্যা না বলেও মনের অনুভূতিটা সহজেই প্রকাশ করতে পারছেন৷ এ কথা জানান মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডা. ব্র্যাড ব্ল্যান্টন৷
মিথ্যা কথার নানারূপ
‘সৎ’ থাকা শুনতে বেশ ভালো লাগলেও বাস্তবে অতটা সহজ নয়৷ মানুষ নাকি দিনে ১৫০ থেকে ২০০ বার মিথ্যে বলে৷ এ ধরনের মিথ্যের মধ্যে পড়ে নীরব থাকা, বিদ্রুপ করা, কপ্লিমেন্ট করা ,জুয়াচুরি, নিজেই সত্যকে অস্বীকার করা অর্থাৎ মিথ্যে ভাবা এবং নম্রতা বা ভদ্রতার কারণে সত্য কথাটি ‘না’ বলা ইত্যাদি৷ এছাড়াও অনেকে মিথ্যে বলেন অভ্যাসের বসে বা ভয়ে৷
যাঁদের কথা সকলেই জানে
যাঁরা রাজনীতিক, যারা সমাজে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িত কিংবা যারা মিথ্যে সার্টিকেট দেখিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাদেরই সাধারণত ‘মিথ্যাবাদী’ বলা হয়৷ এগুলো আসলে অনেক বড় মিথ্যে কথা৷
নিজের কাছে ‘সৎ’ থাকাই বড় কথা
ভদ্রভাবে ন্যায্য কথা বলা ও প্রয়োজনে রাগ প্রকাশ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকলেই কিন্তু যে কেউ সত্য কথা বলতে পারে৷ জানান মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডা. ব্র্যাড ব্ল্যান্টন৷
যে কারণে জার্মানরা মিথ্যে বলেন
কাউকে খুশি করতে কিংবা কোনো কারণে কাছের মানুষের মন ভালো করতে মিথ্যে কথা বলে থাকেন জার্মানরা৷ আর এ সব কারণেই শতকরা ৪৯ জন জার্মান মিথ্যে কথা বলেন৷ ১০২৪ জনকে নিয়ে করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে৷ মিথ্যা কথা বলার কারণ নিয়ে এই গবেষণাটি করেছে ‘স্প্লেনডিড রিসার্চ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷
যে কারণে পাঠকদের অনেকে মিথ্যা বলেন
‘‘নিজের সন্মানের খাতিরে সপ্তাহে দুই-একটা কথা স্ত্রীর কাছে অনেকেরই লুকাতে হয়৷ আসলে কিছু কিছু বিষয় থাকে, যা নিজের ওয়াইফের কাছেও বলা যায় না৷’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এ কথা লিখেছেন পাঠক এমএ বারিক৷ আর মো. রায়হান লিখেছেন, ‘‘আমি মিথ্যা বলি সাধারণত এমন পরিবেশে যখন মনে হয় সত্য কথা বললে আমার সঙ্গে আর তাঁরা ভালো ব্যবহার করবেন না, তখন৷’’
সত্যকে লুকিয়ে মিথ্যা বলেন যাঁরা
‘‘কোনো কথা দেয়ার সময় আমি যদি জানি যে কথাটা আমি রাখবো না বা আমার পক্ষে রাখা সম্ভব না, আমার কাছে কথা দেয়াটাই তখন মিথ্যা৷’’ এ মন্তব্য তানজিনা ফেরদৌসের৷ পাঠক রাতুল বসুর কাছে বাস্তবকে অস্বীকার করার আরেক নাম মিথ্যা৷ আবার প্রদীপ কুন্ডুর কথায়, ‘‘যুক্তিসঙ্গত কারণে মিথ্যা বললে ততটা কষ্ট পাই না, অন্যথায় অপরাধবোধ ভীষণ কষ্ট দেয়৷’’