1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিম্বাবোয়ে নিয়ে সতর্ক জার্মানি

১৭ নভেম্বর ২০১৭

এমন নয় যে,রবার্ট মুগাবে সবসময় জার্মান রাজনীতিবিদদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন৷ আবার এর অর্থ এটাও নয় যে, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করায় সকলে উচ্ছ্বসিত৷ বরং জিম্বাবোয়ের যে কোনো পরিবর্তনই গণতান্ত্রিক উপায়ে চান জার্মান রাজনীতিবিদরা৷

https://p.dw.com/p/2nmzu
Simbabwe Krise Straßenszenen aus Harare
ছবি: Getty Images/AFP

জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টকে দেশটির সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ক্ষমতাচ্যুত করার পর, বিষয়টি নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বার্লিন৷ জার্মানি এবং তার ইউরোপীয় জোটসঙ্গীরা জিম্বাবোয়ের সেনাবাহিনীর প্রতি সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমকে এ কথাই জানান জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাইনার ব্রুয়েল৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত কয়েকবছর জিম্বাবোয়ে এবং জার্মানির মধ্যকার সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল৷ তবে তার আগের ইতিহাস ছিল অন্যরকম৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট হেলমুট স্মিট  ১৯৮২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুগাবের প্রশংসা করে বলেছিলেন, জিম্বাবোয়ের শান্তিপূর্ণ এবং সফল স্বাধীনতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি৷ কিন্তু ২০০০ সালে দু'দেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক শেষ হয়ে যায় যখন মুগাবের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী শেতাঙ্গ কৃষকদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং বিরোধী নেতাদের উপর দমনপীড়ন শুরু করে৷ এরপর থেকে জিম্বাবোয়ে এবং জার্মানির নেতাদের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সীমিত এবং শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক হয়ে পড়ে৷

Zitattafel Alpha Condé Präsident der Afrikanischen Union

পাশাপাশি সেদেশে উন্নয়ন সহায়তা প্রদানও বন্ধ করে দেয় জার্মানি৷ শুধু তাই নয়, জার্মানির সহায়তায় ২০০২ সালে জিম্বাবোয়ের মুগাবে সরকারের প্রতিনিধিদের ইইউ-তে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং অঞ্চলটিতে থাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়৷ একইসঙ্গে জিম্বাবোয়ের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়৷

তাসত্ত্বেও জিম্বাবোয়ের ক্ষমতায় থেকে যান মুগাবে৷ আর ইইউ-র সমর্থন হারানোয় চীনকে পাশে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ কিন্তু এক পর্যায়ে সেদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়লে ইইউ-র নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেন মুগাবে৷ এখন সেনাবাহিনী সেদেশের দায়িত্ব নিয়ে নেয়ায় দেশটির উপর আর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেছেন বেশ কয়েকজন জার্মান রাজনীতিবিদ৷

জার্মানির বাম দলের আইন প্রণেতা স্টেফান লিবিশ এ প্রসঙ্গ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইউরোপ এবং জার্মানির উচিত হবে না জিম্বাবোয়ের উপর নতুন কোনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো৷ অতীতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজে আসেনি৷'' বরং লিবিশ চান যে, জিম্বাবোয়েকে ঋণ দিক জার্মানি আর সেই ঋণের শর্ত হবে ভবিষ্যতে দেশটিতে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে৷

লিবিশ আরো মনে করেন, জিম্বাবোয়ের মুগাবে পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) এবং সাউথ আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটির আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে৷ তবে এইউ এখন অবধি সেদেশের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি৷

ডানিয়েল পেলৎস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান