1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যান্ডেলার দল এএনসি’র শততম বার্ষিকী

৭ জানুয়ারি ২০১২

নেলসন ম্যান্ডেলার দল ‘আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস’ এএনসি’র শততম বার্ষিকী রবিবার৷ তবে যে দলটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের সমাপ্তি এনেছিল তারা এখন আদর্শ থেকে অনেকটা সরে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/13fPb
Der wohl berühmteste politische Häftling der Welt, Nelson Mandela und seine Ehefrau Winnie, grüßen mit erhobener Faust am 11.02.1990 nach seiner Freilassung in Paarl die jubelnde Menschenmenge am Wegesrand. Nach 27 Jahren Haft, davon fast 18 im Gefängnis auf Robben Island, wurde der Führer des African National Congress (ANC) am 11. Februar 1990 frei gelassen. Gut vier Jahre später, am 10. Mai 1994, wurde der charismatische Politiker als erster Farbiger zum neuen Staatspräsidenten des ehemaligen Apartheid-Staates Südafrika vereidigt.
১৯৯০ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী উইনির সাথে নেলসন ম্যান্ডেলাছবি: picture alliance/dpa

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইন শহরে গঠিত হওয়ার সময় দলটির নাম ছিল ‘সাউথ আফ্রিকান নেটিভ ন্যাশনাল কংগ্রেস'৷ পরে ১৯২৩ সালে এটি এএনসি'তে পরিণত হয়৷

শুরু থেকেই দলটি আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেছে৷ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে মিলেও দাবি দাওয়া আদায়ে সংগ্রাম করেছে এএনসি৷

এই দলেরই নেতা ছিলেন নেলসেন ম্যান্ডেলা৷ ১৯৬২ সালে তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার গ্রেপ্তার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়৷ রবেন দ্বীপে ২৭ বছর কারাবাস করার পর মুক্তি পান ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে৷ এরপর দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় অংশ নেন৷ যার ফলে বর্ণবাদের অবসান ঘটে এবং সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে ১৯৯৪ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতায় আসীন এএনসি৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ম্যান্ডেলা, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘মাদিবা' নামেই বেশি পরিচিত৷ মাদিবা তাঁর গোত্রের দেয়া নাম৷

শতবর্ষ উপলক্ষ্যে তিনদিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে৷ একটি গল্ফ টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের মাধ্যমে শুক্রবার থেকে সেটা শুরু হয়েছে৷ চলবে রবিবার পর্যন্ত৷ সেদিন বর্তমান প্রেসি়ডেন্ট জ্যাকব জুমা বক্তব্য রাখবেন৷ প্রায় ৪৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ ইতিমধ্যে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন ও জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

তবে অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হয়ে থাকার কথা যার সেই নেলসন ম্যান্ডেলা থাকতে পারবেন না বলে খবর পাওয়া গেছে৷ এএনসি মহাসচিব গেডে মানটাশে শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ম্যান্ডেলার মানসিক অবস্থা খুব ভাল আছে, কিন্তু তাঁর অনেক বয়স হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ৯৩ বছর বয়সি ম্যান্ডেলাকে সর্বশেষ জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময়৷ তখনো আগে বলা হয়েছিল যে, ম্যান্ডেলা থাকতে পারবেন না৷ কিন্তু পরে সবাইকে চমকে দিয়ে ঠিকই উপস্থিত হয়েছিলেন মাদিবা৷ এবারও সেরকমই কিছুর আশা করছেন সমর্থকরা৷

কিন্তু এই জাঁকজমক ভরা আয়োজন দিয়ে হয়তো বিশ্বের নজর কাড়া যাবে৷ কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, গত ১৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এএনসি অতিদরিদ্রদের দিকে না তাকিয়ে বেশি নজর দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের দিকে৷ তাঁরা করদাতাদের পয়সায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন বলে মাঝে মধ্যেই গণমাধ্যমে খবর বের হচ্ছে৷ ফলে গণমাধ্যমের উপর সরকারের চাপ বাড়ছে দিনদিন৷

এছাড়া গরিব লোকের জন্য সরকারি হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন করা হচ্ছে না৷ বাড়ছে বেকারত্বের হার৷ বর্তমানে যেটা প্রায় ২৫ শতাংশ৷ বাড়ছে সন্ত্রাসী ঘটনাও৷

এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুর্নীতিও৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট জুমা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার আগে তাঁর ওপর থাকা দুর্নীতির সব অভিযোগ তুলে নেয়া হয়৷

তবে শততম বর্ষে এসে এএনসি আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের হয়ে কাজ করবে, দলের নেতারা বর্ণবাদপূর্ব সময়ের আদর্শ মেনে কাজ করবেন এই আশা সকলের৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য