1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের কারণ

২১ মার্চ ২০১৮

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট টিন চ৷ বুধবার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতির মাধ্যমে পদত্যাগের খবর জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/2ugNl
ছবি: Reuters/S. Zeya

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের ঘোষণার কিছুক্ষণ পর নিম্নকক্ষের স্পিকার এবং সু চি'র অন্যতম সহযোগী উইন মিন তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ান৷ প্রেসিডেন্ট টিন চ এমন সময় পদত্যাগ করলেন, যখন রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার৷ টিন জ ছিলেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি'র ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু৷ এর ফলে সু চি আরও সংকটে পড়লেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

প্রেসিডেন্ট দপ্তরের বিবৃতিতে পদত্যাগের কোনো কারণ জানানো হয়নি৷ বলা হয়েছে, ‘‘টিন চ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিশ্রাম নেবেন এবং তাঁর এই পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে৷ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে৷’’

৭২ বছর বয়সি এই এনএলডি নেতার স্বাস্থ্য গত কয়েক মাস ধরেই খারাপ যাচ্ছিল৷ দ্রুত তাঁর ওজন কমে যাচ্ছে এবং তিনি হৃদরোগে ভুগছেন৷ তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে এলেও মূলত সরকার চালানোর কাজটি করছিলেন অং সান সু চি৷ নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনারেল মিন সোয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন৷

এমন এক সময় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন আসছে, যখন রাখাইনে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নির্মূলের’ অভিযোগ উঠেছে৷ গত বছরের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গা৷

বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হোর্সে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘সু চি যার উপর আস্থা রাখতে পারবেন, তাঁকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেবেন, কেননা, সংবিধান অনুযায়ী আসলে তাঁর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই৷ প্রেসিডেন্টের মাধ্যমেই তিনি কিছু ক্ষমতার অধিকার পেতে পারেন৷’’

প্রায় অর্ধশতক সেনা শাসনের পর ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এনএলডির বড় জয়ে মিয়ানমারে দীর্ঘ সামরিক নেতৃত্বের অবসান ঘটে৷ সেসময় নোবেলজয়ী সু চি রাষ্ট্রপ্রধানের পদের জন্য বেছে নেন তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত উপদেষ্টা টিন চ-কে৷

সে সময় সংবিধান সংশোধন করে সু চি'র জন্য স্টেট কাউন্সিলরের পদ সৃষ্টি করা হয়৷ রাষ্ট্রের অধিকাংশ নির্বাহী ক্ষমতাও দেওয়া হয় তাঁর হাতে৷ অবশ্য পার্লামেন্টের নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন এবং মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদ সংবিধান অনুযায়ী এখনও রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)